ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় সাউথ এশিয়ান স্পীকারস সামিট

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় সাউথ এশিয়ান স্পীকারস সামিট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে বৈঠকে বসছেন দক্ষিণ এশিয়ার স্পীকাররা। আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সাউথ এশিয়ান স্পীকারস সামিট। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে ভারত, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকারসহ সংসদীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সঙ্গে এ সামিট আয়োজনে সহযোগিতা দিচ্ছে ক্যাম্পইন ফর ট্যোবাকে ফ্রি কিডস। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামিটের বিস্তারিত তুলে ধরে সোমবার রাজধানীর কাকরাইলের তার নিজস্ব অফিসে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এতে প্রজ্ঞা এবং এন্টিটোব্যাকো মিডিয়া এ্যালায়েন্সের (আত্মা) সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি জানান এ সামিটে পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা হবে। এগুলো হচ্ছে এ অঞ্চলের জন্য এসডিজি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এসডিজি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনায় পার্লােেমন্টগুলোর ভূমিকা, এসডিজির স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত গোল-৩ এর অধীন সুযোগসমূহ, তামাক মহামারির বর্তমান অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নীতি ও কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন। তিনি জানান, দু-দিনের এ সামিটে কানাডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটি, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি, আইপিইউ, ইউএনডিপি, এসকেপ, সিটিএফকে, ডব্লিউএইচও এবং থাই হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এসডিজির যে ১৬৯টি টার্গেট রয়েছে তার মধ্যে তামাকের ভয়াবহতা বিবেচনায় ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি বাস্তবায়ন অন্যতম। সুতরাং এফসিটিসি বাস্তবায়ন এখন আর বিচ্ছিন্ন কোন বিষয় নয়। উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসডিজি অর্জন করতে চাইলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশের সরকারগুলোকে এফসিটিসি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন মোটা দাগে দুটি কারণে অত্যন্ত জরুরী। প্রথমত, এফসিটিসি ছাড়া এসডিজির তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনমান নিশ্চিত করা এবং সব বয়সের মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়, এসডিজির অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও তামাক একটি বড় ধরনের বাধা।
×