ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ি ভাংচুর

শৈলকুপায় সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত ২০

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

শৈলকুপায় সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ২৫ জানুয়ারি ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৃথক দুটি ঘটনায় দু’দল গ্রামবাসীর তুমুল সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। সে সময় ১৫টি বাড়িতে হামলা ভাংচুর করা হয়। এর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধে সোমবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার শেরপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ ১৫ জন আহত ও ৮টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। অপরদিকে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই উপজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামে সংঘর্ষে ৫ জন আহত ও ৭টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শর্টগানের ১৫ রাউন্ড ও রাইফেলের পাঁচ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল জানান, শেরপুর গ্রামের মাখন শেখ ও তোবারক শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার মাখন শেখের লোকজন প্রতিপক্ষের জমির কলাগাছ কেটে দেয়। এ নিয়ে গ্রামের অপরপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারই জের ধরে সোমবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল, ভেলা, সড়কি, রামদা, লাঠিসোঁটা ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামাতে গুলি ছুঁড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সে সময় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটের আঘাতে ৩ পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। অপরদিকে, একই উজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের মনির উদ্দিনের বাড়িতে সোমবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সে সময় প্রতিপক্ষ শাহজাহানের গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষের সময় অন্তত ৮টি বাড়ি-ঘরে হামলা ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। কুয়াশাচ্ছন্ন গাইবান্ধা ॥ নৌ যোগাযোগ বন্ধ নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৫ জানুয়ারি ॥ গত কয়েকদিন ধরে প্রচ- শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র ঠা-ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রবিবার সারারাত ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির মতো শিশির পড়েছে। এছাড়া দুপুর ১টা পর্যন্ত হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে সর্বত্র। ট্রেন বাসসহ সকল প্রকার যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়। সারারাত এবং সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী পথে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর সঙ্গে জেলা ও উপজেলা সদরের নৌচলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত সর্দি কাশি, হাঁপানি, পেটের পীড়া, কোল্ড ডায়রিয়া রোগীদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। তীব্র ঠা-া ও কুয়াশায় ইরি-বোরো চারাসহ সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ঠা-ার কারণে কৃষকরা জমি চাষ বা ধানের চারা রোপণ করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছে। কিন্তু শীতের কারণে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা গরম কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
×