ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণফুলী তীরের অবৈধ ডক ইয়ার্ড বন্ধের নির্দেশ ॥ ১০ জাহাজকে জরিমানা

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

কর্ণফুলী তীরের অবৈধ ডক ইয়ার্ড বন্ধের নির্দেশ ॥ ১০ জাহাজকে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি ডক ইয়ার্ডকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ডক ইয়ার্ডটি বন্ধের নির্দেশও দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ১০টি জাহাজকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাশেম সোমবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন। বন্দর সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে এ অভিযান শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। অভিযানে কর্ণফুলীর তীরে গড়ে ওঠা একটি অবৈধ ডক ইয়ার্ড বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। ১০টি জাহাজকে জরিমানা করা হয় বন্দর চ্যানেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে। কর্ণফুলী তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি ডক ইয়ার্ড বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বন্দর চ্যানেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি জাহাজকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ‘মদিনা ডক ইয়ার্ড’ নামের দ-িত এ ইয়ার্ডটির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত এটি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে ৫ দিনের মধ্যে জায়গাটি খালি করে দেয়ার আদেশ দিয়েছে। এছাড়া এ দিন দ-িত জাহাজগুলো হচ্ছেÑ ওটি সুফলা-১, এমভি মনোয়ার জহির, এমভি মায়ের আদেশ, এমভি বিউটি অব মতলব, ওটি সুফলা-১, ওটি হিল্টন, এমভি গোলাপ-৩, এমভি কিং অব নারিসা, এমভি নির্ঝর-৩, এমভি আল ইত্তেহাদ এবং এমভি আল বাহার। ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ফকিরহাট উপজেলার কামটা গ্রামে রহিমা বেগম নামের অসহায় এক মা। পাচ্ছে না কোন প্রতিকার। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করেন ছেলেহারা এই মা। ছেলেহারা মা রহিমা বেগম জানান, স্বামী ইশারাত শেখ ও ছেলে জহির শেখ পচাকে নিয়ে ছিল তাদের সুখের সংসার। জমিসক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একই এলাকার ইয়ার আলী শেখ, নাজমিন বেগম, মনি খান, শাহীন খান ও মনিরুল মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল বিরোধ। এ বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালী ওই মহল একাধিকবার তাকে ও তার স্বামীকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। ২০১৫ সালের ৩ মার্চ আমার ছেলে জহির শেখ পচা বাড়ি থেকে মৎস্য ঘেরের উদ্দেশ্যে বের হয়। দুইদিন পর ওই মৎস্য ঘেরে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সে ও তার স্বামী ছেলের শোকে মুহ্যমান থাকায় সুযোগ নিয়ে ওই প্রভাবশালী চক্রটি সুকৌশলে জহির শেখ পচার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দিয়ে দেয়া চক্রটিই পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। এ খবর জানতে পেরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, পরে তারা বাগেরহাট আদালতে মামলা দায়ের করলে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেই মামলার এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে অসহায় এই পরিবারটির কাছ থেকে দশ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে। বর্তমানে ওই মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। পুলিশ মামলার সাক্ষীদের উল্টো হয়রানি করছে। আর পুলিশের সহযোগিতা পেয়ে আসামিরা এখন ছেলেহারা মা-বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ফকিরহাট থানা ও জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে দাবি করেছেন রহিমা বেগম।
×