ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের কারিশমা ॥ খুনের মামলায় আসামি ১২ বছরের বড়ভাই

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

পুলিশের কারিশমা ॥ খুনের মামলায় আসামি ১২ বছরের বড়ভাই

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ যমুনা তীরের নিভৃত পল্লীর আট বছরের এক শিশু হত্যার ঘটনা ও আইনের রক্ষক পুলিশকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত শেষ না হতেই দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা শিশু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করলেন এভাবে- আট বছর বয়সী ছোট ভাই সোহাগকে মা বাবা বেশি আদর করত বলে ১২ বছর বয়সী বড় ভাই সৌরভ ছোট ভাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। ওদের বাবা মহিদুল ইসলাম লকুর কথা- তারা গরিব মানুষ। ১১ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি। জমির জন্য প্রভাবশালীদের নজরে পড়েছেন তিনি। থানার দ্বিতীয় আইও এ মামলার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। না দেয়ায় বড় ছেলেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও একশ’ টাকা দিয়ে জবানবন্দী নেয় মা বাবার আদর না পেয়ে সে খুন করেছে। সাদাসিদেভাবে দেখা এ ঘটনা বগুড়ার যমুনা তীরের সারিয়াকান্দি উপজেলার কাটাখালি পশ্চিমপাড়া গ্রামের। ঘটনার সার-সংক্ষেপ ॥ মহিতুল ইসলাম লকুর ২ ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার। গত আগস্টের ২৫ তারিখ বিকেলে ছোট ছেলে সোহাগ সন্ধ্যার পর বাড়িতে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের এক পাটক্ষেতে সোহাগের হাত পা বাঁধা মুখে কাপড় গুঁজে রাখা লাশ পাওয়া যায়। পরদিন সারিয়াকান্দি থানায় মামলা হয়। তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় সাব ইন্সপেক্টর কালাচাঁদ ঘোষের ওপর। হঠাৎ করেই আইও পরিবর্তিত হয়। দায়িত্ব পায় এস আই নয়ন। এরপর সময় ক্ষেপণ হতে থাকে। এসআই নয়ন নানাভাবে এবং সরাসরি নিহতের বাবাকে জানায় এক লাখ টাকা দিলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করবে। তদন্তের গতি আর হয় না। দারোগার দাবির অর্থ না দেয়ার তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন ‘দেখিস এবার কি করি’। নবেম্বর মাসের শেষের দিনে সকাল বেলা বাড়ির উঠানে খেলারত নিহতের বড় ভাই সৌরভকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। তারপর ভয়ভীতি দেখান হয়। এক পর্যায়ে এসআই গ্রামে রটিয়ে দেয় বড় ভাই ছোট ভাইকে খুন করেছে। নিহত সোহাগের বাবা মা এখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাদের এক সন্তানের প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচার, গ্রেফতার আরেক ছেলেকে রেহাই এবং এসআই নয়নের বিচারের দাবিতে ধর্না দিচ্ছেন। সোমবার নিহত সোহাগের বাবা মা বগুড়া প্রেসক্লাবে এসে সংবাদকর্মীদের কাছে আকুতি জানান থানা পুলিশ প্রভাবশালীদের পক্ষে কথা বলছে। গরিব অসহায় মানুষকে দেখার কে আছে! তিনি এসআই নয়নকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, প্রভাবশালীরা যেভাবে চাচ্ছে দারোগা সেভাবেই চলছেন। কিশোরগঞ্জ জেলা বার পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দুই দিনের সফরে কিশোরগঞ্জ যান। সোমবার শেষদিনে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন পরিদর্শনসহ কর্মরত আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। রাষ্ট্রপতি দুপুরে তাঁর নিজ বাসভবন শহরের খড়মপট্টি থেকে সড়কপথে বার সমিতিতে গিয়ে পৌঁছান। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ মাহবুব-উল-ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি শাহ আজিজুল হক, সম্পাদক সহিদুল ইসলামসহ বারের সিনিয়র আইনজীবীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্রপতি এই বার সমিতিতেই তাঁর জীবনের দীর্ঘদিন আইন ব্যবসায় জড়িয়ে থাকায় আইনজীবীদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সার্কিট হাউসে জেলার করিমগঞ্জের জাফরাবাদে তাঁর নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকম-লী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আ.ন.ম নৌশাদ খানসহ সামরিক-বেসামরিক পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেন।
×