ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যথাযোগ্য মর্যাদায় গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

যথাযোগ্য মর্যাদায় গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে রবিবার মহান গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত, বকশীবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটে শহীদ মতিউরের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন। বাঙালী জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক মহান গণঅভ্যুত্থান দিবস। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তির সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে। ঐতিহাসিক ২০ জানুয়ারির ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের মুক্তিপাগল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঊনসত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালীর মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময়ে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
×