ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন। রবিবার সূচক কমলেও বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। পাশাপাশি টাকার অঙ্কেও লেনদেন সামান্য বেড়েছে। এদিন পুঁজিবাজারে বীমা, বস্ত্র ও আইটি খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও আর্থিক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। অপরদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমলেও স্টক এক্সচেঞ্জটিতে সূচক বেড়েছে। তবে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে না ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রবিবার দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১১৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার দর। আজ বাজারে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১ হাজার ১১৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১ হাজার ৭৫১ পয়েন্টে। আর ওইদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা। সে হিসেবে রবিবার ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৯ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৪টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১২৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। দর বৃদ্ধির কোম্পানির সংখ্যা বেশি হলেও স্টক এক্সচেঞ্জটির ৫টি সূচকই বেড়েছে। এরমধ্যে সিএসইএক্স ৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট, সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৭৮ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক ৪০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়েছে। টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। সাধারণত, শেয়ারের দর বাড়লে সূচকও বাড়ে। আবার দর কমলে সূচকও কমে। তবে ডিবেঞ্চার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের দর বাড়া বা কমার সঙ্গে সূচকের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ, সূচক গণনায় এদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। তবে রবিবার দেশের উভয় বাজারে সূচকের ব্যতিক্রমী আচরণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা ধরনের সংশয় সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তাদের অনেকেই মনে করছেন, কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোন কারণে সূচকের ভুল হিসাব গণনা হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে ফোন করে অনেক বিনিয়োগকারী সূচক গণনার বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। তারা মনে করছেন, ডিএসইতে কোন কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। তবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের কারিগরি ত্রুটির কথা অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, বড় বাজারমূলধন ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর দর পতনের কারণে এমনটি হয়েছে। সূচকের উপর এসব কোম্পানির প্রভাব বেশি। তাই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়লেও সূচক কমেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একজন কর্মকর্তা বলেন, বাজার মূলধনের দিক থেকে বড় ৩০ কোম্পানির মধ্যে মাত্রা ৪টির শেয়ারের দাম উর্ধমুখী। বাকি সব দর হারিয়েছে। এমন অবস্থায় দুই-তৃতীয়াংশ শেয়ারের দাম বাড়লেও সূচক পতন অনিবার্য। রবিবার দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১১৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে। প্রসঙ্গত, সূচক গণনায় ভুলের কারণে পুরনো সূচক বাদ দিয়ে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০ নামে দুটি সূচক চালু করেছিল ডিএসই। পরবর্তীতে শরিয়াহ সূচক নামে আরও একটি সূচক চালু করে তারা।
×