ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাগেশ্বরীতে ১২ হাজার ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

নাগেশ্বরীতে ১২ হাজার ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কয়েকদিনের তীব্র ঠা-ায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত তিন দিনে অন্তত ১২ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। ঠা-াজনিত গামব্রো এবং রানীক্ষেত রোগ প্রতিদিন মারা যাচ্ছে মুরগি। লোকসান আতঙ্কে রয়েছেন খামারিরা। মাইকিং করে অর্ধেক দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগির চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলায় প্রায় ৩শ’ খামার গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে শতাধিক ব্রয়লার সামগ্রীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত এক সপ্তাহ ধরে নাগেশ্বরীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ঠা-া। দিনভর পড়ছে কুয়াশা। দিনেরাতে ঠা-ার মাত্রা প্রায় একই রকম থাকছে। ঠা-ায় সব বয়সী ব্রয়লার মুরগি গামব্রো ও রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিটি খামারে ৫০ থেকে শতাধিক মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে অন্তত ১২ হাজার মুরগি মারা গেছে তিন দিনে। উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চ-ীপুর গ্রামের খামারি মনিরুজ্জামান, ফারুক হোসেন ও নেওয়াশী গ্রামের মেছের আলী বলেন, গত কয়েকদিনের ঠা-ায় মুরগি মরে প্রায় শেষ। এবার পুঁজি থাকবে না। বয়স হওয়ার আগেই মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে অর্ধেক দামে। এদিকে খামারে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করতে অতিরিক্ত ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর পরও ঠা-া কমছে না। কমছে না রোগের প্রকোপ। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানিরপাড় গ্রামের মমিন মিয়া বলেন চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনভাবে ঠা-া রোধ করা যাচ্ছে না। আগামীতে মনে হয় ব্যবসা থাকবে না। পৌরসভা এলাকার হাসেমবাজার গ্রামের জহুরুল হক, পীরবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিকেজি মুরগিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ১শ’ ২০Ñ৩০ টাকা। রোগের কারণে ৭০Ñ৮০ টাকায় মাইকিং করে বেচতে হচ্ছে। নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল কাদের বলেন, অতিরিক্তি ঠা-া পড়ায় রোগ দেয়া দিয়েছে।
×