ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বোলিং নিয়েই ভাবছেন ধোনি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

বোলিং নিয়েই ভাবছেন ধোনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ ওয়ানডেতে সান্ত¡নার জয় তুলে নেয়ার পাশাপাশি সিরিজে হারের ব্যবধান (৪-১) কামিয়েছে ভারত। সিডনিতে ৩৩০ রান চেজ করে সফরকারীদের জয়টা এসেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আগের তিন ম্যাচে হারলেও দুটিতে তিন শ’র ওপরে এবং একটিতে কাছাকাছি রান তোলে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। চার, ছক্কা, সেঞ্চুরিতে মাতিয়ে তোলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, মানিস পান্ডেরা। টি২০ সিরিজ সামনে রেখে তাই নিজেদের বোলিং নিয়েই যত চিন্তা সফরকারী অধিনায়কের। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ তিন ভার্সনে তিন ধরনের বিশেষজ্ঞ বোলার চাইছেন তিনি। অন্যদিকে রান-বন্যার দ্বৈরথে নিজেদের পিচের আচরণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ওয়ানডে শেষে দু-দল এবার টি২০ লড়াইয়ে মুখোমুখি। মঙ্গলবার এ্যাডিলেড ওভালে প্রথম ম্যাচ। ‘সত্যি বলতে আমাদের বোলিং বিভাগকে একেবারে প্রয়োজন মতো সাজিয়ে নিতে হবে। আলাদা করতে হবে কারা টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি২০ ভার্সনের জন্য সেরা বোলার। একই আক্রমণ দিয়ে তিন ফরমেটে চলবে না।’ আগের ম্যাচগুলোতে তিন শ’র আশপাশে স্কোর গড়েও বড় হারের পর শেষ ওয়ানডেতে বোলিং আক্রমণে কিছুটা পরিবর্তন আসে। খেলানো হয় ঋষি ধাওয়ান, গুরকিরাত সিং ও জাসপ্রিত বুমরাকে। রান-বন্যার ম্যাচেও ২ উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত বুমরা। ৩৩১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের নায়ক মানিস পান্ডে হাঁকিয়েছেন অপরাজিত সেঞ্চুরি (৮১ বলে ১০৪)। বুমরায় মুগ্ধ অধিনায়ক ধোনি বলেন, ‘এই ছেলেটার বোলিং ভুললে চলবে না। অভিষেকেই অসাধারণ বল করেছে ও। শুরুতে নতুন বলে, মাঝে এবং ডেথ ওভারে ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছে। ওর এ্যাকশনটাও অদ্ভুত, বৈচিত্র্য আছে। দলে এই ধরনের বোলারদেরই এখন বেশি প্রয়োজন।’ বোলিং নিয়ে বিশ্বজয়ী সেনাপতি আরও বলেন, ‘দল গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গতবার যখন অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলাম তখন লাইনআপ দারুণ ছিল। বোলারদের নৈপুণ্যেই বিশ্বকাপের সেমিতে খেলেছিলাম। আমাদের ব্যাটিং সবসময়ই জমাট, মূল সমস্যা বোলিংয়ে। ভাল রেজাল্ট পেতে হলে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।’ রোহিত ৯৯, ধাওয়ান ৭৮ ও ধোনি ৩৪ রান করলেও ভারতের সান্ত¡নার জয়ে বড় অবদান পান্ডের। সফরকারী ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘মানিস যে ইনিংসটা, সেটা ওকে আরও ১০-১৫টা ম্যাচে খেলার সুযোগ করে দেবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জমিয়ে বসতে যে কটা ম্যাচ প্রয়োজন হয় আর কী।’ দলের সাফল্যের মাঝেও উঠে আসে ধোনির বাজে ফর্ম এবং দুর্বল নেতৃত্ব প্রসঙ্গ। অনেকে বলছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ওয়ানডেটি হয়ত খেলে ফেলেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’! টানা তিন হারের পর যেমন বলেছিলেন, ঠিক একই সুর ধোনির কণ্ঠে, ‘আমার নেতৃত্ব নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তবে ভারতবাসীর স্বার্থে মামলা করা হোক। কারণ আমি এ নিয়ে কিছু বললে তো আবার স্বার্থের সংঘাত দেখা দেবে!’ বিশ্বকাপের আগে এই অস্ট্রেলিয়া সফরে হুট করেই টেস্ট থেকে অবসর নেন ধোনি। সাদা পোশাকের দায়িত্ব ওঠে ‘ক্রেজি’ কোহলির কাঁধে। শুরুতেই বাজিমাত করেন তিনি। দীর্ঘ ২২ বছর পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জয়ের পর ঘরের মাটিতে ‘নাম্বার ওয়ান’ দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে তার দল। অনেকে তিন ভার্সনেই কোহলির হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়ার পক্ষে মত দেন। যদিও ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) কর্তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, মার্চ-এপ্রিলে আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত রঙিন পোশাকের নেতৃত্বে থাকছেন ধোনিই।
×