ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের নাটক প্রযোজনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি ॥ হ ম সহিদুজ্জামান

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের নাটক প্রযোজনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি ॥ হ ম সহিদুজ্জামান

সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণ। বিশেষ করে বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে তরুণরাই নিত্যই নতুন নতুন আঙ্গিকে প্রযোজনা উপহার দিয়ে আমাদের নাট্যাঙ্গণকে গতিশলী করছেন। এমনি একজন তরুণ সংস্কৃতি কর্মী হ ম সহিদুজ্জামান। মঞ্চ ও টিভি মিডিয়ার সৃজনশীল নাট্যকর্মী, নাট্যকার ও নাট্য নির্দেশক। বাঙলা নাট্যদলের প্রতিষ্ঠা সদস্য, বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক। দলের জন্য নতুন নতুন নাটক রচনার পাশাপাশি নিয়মিত নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। দলের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৯ জানুয়ারি দনিয়ায় বাঙলা নাট্যদলের উদ্যোগে পথনাট্য উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। প্রশ্ন : দনিয়ায় জহির আলম নাট্যোৎসব প্রসঙ্গে জানতে চাই? হ ম সহিদুজ্জামান : বাঙলা নাট্যদলের সভাপতি ছিলেন জহির আলম। দনিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার স্মরণেই দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আমি ও আবিদ আহমেদের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো শহীদ মিনার, দনিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজে মাঠে পথনাট্যোৎসব করছি। এতে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি দল অংশ নিচ্ছে। প্রশ্ন : জহির আলম পথনাট্যোৎসবের উদ্দেশ্য কি? হ ম সহিদুজ্জামান : বাংলাদেশের প্রতিটি নাট্যদলকে ক্রমান্বয়ে উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। এই লক্ষ্যেই আমরা প্রতি উৎসবে নতুন দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। পরবর্তীতে এই উৎসবকে আরও বড় পরিসরে করার ইচ্ছে আছে। প্রশ্ন : উৎসবে কোন্ কোন্ নাট্যদল অংশ নিচ্ছে ? হ ম সহিদুজ্জামান : পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি), ঢাকা মৌলিক নাট্যদল, খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী এবং ঢাকার বাইরের একটি দল থাকবে। উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি এবং দলকে আমরা সম্মাননা ও শুভেচ্ছা স্মারক দেব। এ ছাড়াও আমাদের দলের দুই সদস্য সেলিম বহুরূপী এবং জামিল উদ্দীন খান লোটাসকে সম্মাননা প্রদান করব। প্রশ্ন : বাঙলা নাট্যদলের বেশ কয়েকটি প্রযোজনা আলোচনায় এসেছে ? হ ম সহিদুজ্জামান : ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারি আমাদের নাট্য অঙ্গনে পথচলা শুরু। যেহেতু আমরা মুক্তিযদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ। তাই সেই তাগিদ থেকে আমরা বেশিরভাগ সময় মুক্তিযুদ্ধের নাটক প্রযোজনায় স্বাচ্ছন্দবোধ করি। এ লক্ষ্যে আমরা প্রথমে আবিদ আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রযোজনা ‘এখনো অন্ধকার’ নাটকটি মঞ্চে আনি। নাটকটি নির্দেশনা ছিল আমার। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের আরেক প্রযোজনা ‘মুক্তির ছিন্ন দলিল’ নাটকটিও সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত হয়। দলের অন্য প্রযোজনা যেমন ‘শাদী মোবারক’, ‘প্রেম পরাণের কথা’, ‘বেদ কইন্যা’, ‘তুই চোর’, ‘ঘুঘু মুন্সি ও অন্যান্য’, ‘মধুমতি পাড়ের মানুষ’, ‘১৯৭১’, ‘ভাবান্তর’, ‘পরিণতি’, ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক’, ‘বান্দরের কিস্সা ও অন্যান্য’ নাটকগুলোতেও আমরা সামাজিক ম্যাসেজ দেয়ার পাশাপাশি নাটকে দর্শকদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি। প্রশ্ন : আপনার নির্দেশনার নতুন নাটকের কোন খবর? হ ম সহিদুজ্জামান : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ব্যতিক্রমধর্মী নাটক ‘বহিপীর’ এর কাজ চলছে। দলের পুরনো ও নতুন কর্মীরা এতে অভিনয় করবেন। আগামী এপ্রিল মাসে নাটকটি মঞ্চায়নের পরিকল্পনা আছে। প্রশ্ন : টিভি নাটকের কোন খবর? হ ম সহিদুজ্জামান : মঞ্চের পাশাপাশি দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করতে টিভি নাটক পরিচালনা করি। এতে থিয়েটার কর্মীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেই। এরই ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এ হক অলিকের রচনা ও আমার পরিচালনায় ‘রোদেলাকেই ভালবাসি’ নাটকটি ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ বিটিভিতে, আমার রচনা ও পরিচালনায় ‘অতপর আমি’ নাটকটিও আগামী মাসের শেষের দিকে প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী মাসে আমাদের বাঙলা মিডিয়া কমিউনিকেশনের প্রযোজনায়, আমার পরিচালনায় ‘কাছে থেকেও দূরে’ এবং ‘পথ চলার শেষ নেই’ নামে দুটি খন্ড নাটকের শূটিং শুরু করব। পাশাপাশি একটি ধারাবাহিক নির্মাণের কথাবার্তা চলছে। -সাজু আহমেদ
×