ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস

মাঝারি মাপের এ শৈত্য প্রবাহ থাকবে আরও দু’তিন দিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

মাঝারি মাপের এ শৈত্য প্রবাহ থাকবে আরও দু’তিন দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌসুমের প্রথম মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। হ্রাস পেতে পেতে রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৬.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এটি মৌসুমের এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও শনিবারের ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে হ্রাস পেয়ে রবিবার ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে। আগামী দুই-তিন এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঠা-া বাতাস, কুশায়া ও কনকনে শীতে রবিবারও দেশবাসীর দুর্ভোগ অব্যাহত থাকে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত নতুন নতুন রোগীর খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানান, শৈত্যপ্রবাহ আর কয়েকদিন থাকতে পারে। তারপর কমে আসবে কনকনে শীতও। এ শীত কেটে গেলে চলতি মৌসুমে আর শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা নেই। দু’দিন ধরে দেশের অধিকাংশ এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও সীতাকু- অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তিনি জানান, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। আজ সোমবারও আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান, তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সূর্য উঠলেও উত্তাপ নেই। নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা থেকে জানান, চুয়াডাঙ্গায় রবিবার চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে নতুন নতুন রোগী। স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, উত্তুরী হাওয়ার দাপটে কষ্টে রয়েছে মানুষ। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস করতে পারছে না। বোরো বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। তীব্র শীতে নিউমোনিয়া, হাঁপানি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলা প্রশাসনক জাকির হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভা-ার এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর থেকে পাওয়া ২৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে জানান, জেলাজুড়ে বইছে প্রচ- ঠা-া বাতাস। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবারও দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়া ও শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৫১ জন। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ এনামুল হক জানান, প্রচ- শীতে পশু সম্পদের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, হঠাৎ করে শীতের মাত্রা বেড়ে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে নতুন করে বরাদ্দ চাইতে হবে। স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
×