ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তবু অবনমন সাকিবের

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

তবু অবনমন সাকিবের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টি২০ সিরিজে বাংলাদেশ ২-২ সমতায় শেষ করে ব্যর্থতাই দেখিয়েছে। তবে এ সিরিজেও নতুন দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে তিন ফরমেটের ক্রিকেট মিলিয়ে ৪০০ উইকেট পূর্ণ করে তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের কাতারে। আর চতুর্থ ও শেষ টি২০ ম্যাচে এক উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশী এবং বিশ্বের দশম বোলার হিসেবে টি২০ ক্রিকেটে ৫০ উইকেটের গর্বিত মালিক হয়ে গেছেন তিনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাবটা অক্ষুণœই আছে। তবু সিরিজের ৪ ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেও বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ অবনমন ঘটেছে সাকিবের। সেরা দশ থেকে ছিটকে এখন আইসিসির টি২০ বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অবস্থান ১২ নম্বরে। টি২০ বোলিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৩ নাম্বার র‌্যাঙ্কিংয়েও উঠেছিলেন সাকিব। বরাবরই জিম্বাবুইয়ের জন্য ভয়ঙ্কর এক বোলার তিনি। এবার অবশ্য সেভাবে ঝলসে উঠতে পারেননি। প্রথম ও শেষ ম্যাচে একটি করে এবং তৃতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কোন উইকেটই পাননি। ৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। আগে যেভাবে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন এবার সেই তালে থাকতে না পারার কারণেই বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। ৬২২ রেটিং নিয়ে এখন সাকিবের অবস্থান ১২। তবে আরেক ক্ষেত্রে সেরা দশে চলে এসেছেন। টি২০ ইতিহাসে বিশ্বের শীর্ষ উইকেট শিকারির তালিকায় এখন তিনি দশ নাম্বারে। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এ ফরমেটে ৫০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ৪২ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ২০.৯৬ গড় ও ৬.৭১ ইকোনমি রেটে ৫০টি। শুক্রবার খুলনার শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে সাকিব ‘উইকেটের ফিফটি’ পূর্ণ করেন। অবশ্য তৃতীয় ম্যাচেই ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ৪৯ শিকার ঝুলিতে পুরেই ১০ নাম্বার অবস্থানটা পেয়েছিলেন তিনি। টি২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তিনি ৯০ ম্যাচে খেলে নিয়েছেন ৯১ উইকেট। সাকিবের খুব কাছাকাছি আছেন ইংল্যান্ডের অবসর নেয়া অফস্পিনার গ্রায়েম সোয়ান (৩৯ ম্যাচে ৫১ উইকেট), নিউজিল্যান্ডের স্পিনার নাথান ম্যাককুলাম (৬১ ম্যাচে ৫৫) ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেইন (৩৮ ম্যাচে ৫৫)। হয়তো অচিরেই সোয়ান ও ম্যাকুলামকে ছাড়িয়ে যাবেন সাকিব, কারণ একজন অবসর নিয়েছেন এবং অন্যজন অনিয়মিত। কিন্তু সাকিব বাংলাদেশের অপরিহার্য ও নিয়মিত একজন ক্রিকেটার। সাকিবকে ছুঁয়ে ফেলার মতো বোলারেরও অভাব নেই। শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান কুলাসেকারা (৪৪ ম্যাচে ৪৮ উইকেট) ও পাকিস্তানের পেসার সোহেল তানভীর (৫০ ম্যাচে ৪৭)। বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়লেও ৩৪৯ রেটিং নিয়ে ঠিকই অলরাউন্ডার হিসেবে এক নম্বর অবস্থানটা ধরে রেখেছেন সাকিব। আর ব্যাটিংয়েও বাংলাদেশের পক্ষে সেরা অবস্থানে সাকিব। টি২০ ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অবস্থান ২৩ নম্বরে। ৩৯ র‌্যাঙ্কিং নিয়ে পরের অবস্থানটি ওপেনার তামিম ইকবালের। তবে বোলিংয়ে বাংলাদেশের উদীয়মান পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের সবচেয়ে বড় উন্নতি ঘটেছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। ইনজুরিতে পড়ায় পুরো সিরিজে ছিলেন না। খেলেছেন ২টি ম্যাচ। ৭.৫ ওভার বোলিং করে নামের পাশে যোগ করেছেন ৪টি উইকেট। ইকনোমি রেট ৪.৭২। এমন পারফর্মেন্সের সুবাদে মুস্তাফিজ এগিয়েছেন ৭০ ধাপ! এখন তার অবস্থান ৩৭ নম্বরে। সাকিবের পর সবচেয়ে ভাল অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মাশরাফির। দুই ধাপ এগিয়ে এখন তিনি ৩৩ নম্বরে। এরপরই আছেন আরেক পেসার আল-আমিন হোসেন। তিনি ১৫ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ৩৫ নম্বরে উঠে এসেছেন। কিন্তু নিজেদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করার জন্য বাংলাদেশ দল খেসারত দিয়েছে। এক ধাপ পিছিয়ে এখন ১১ নম্বরে মাশরাফির দল।
×