ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গোয়েন্দা জালে ধরা পড়ল ২৮ জঙ্গী

ভারতে আইএস চক্র ভাঙতে সিআইএর সহায়তা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

ভারতে আইএস চক্র ভাঙতে সিআইএর সহায়তা

খুব বেশি আগের কথা নয়। ভারতে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক ছিল। এখন দেশজুড়ে চালানো অভিযানে শুক্রবার ২০ আইএসকর্মী গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। দেশের ছয়টি শহরের ১২টি জায়গা থেকে শনিবার আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবারের গ্রেফতারকৃতদের জেরা করেই এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পশ্চিম এশিয়ায় আইএসের কম্পিউটার ও ফোন ট্র্যাক করেছে। সেই সূত্র ধরে ভরতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আইএস চক্রের সন্ধান পায়। এক সূত্র এই অভিযান সম্পর্কে বলেছে, আইএসের ব্যবহৃত শত শত কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের আইপি এ্যাড্রেসের ওপর নজর রাখছে সিআইএ। এরমধ্যে কতগুলো এ্যাড্রেস রয়েছে, যেগুলো আইএসকর্মীরা ফেসবুকে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করেছে। এ ধরনের সব আইপি ও প্রক্সি সার্ভার নজরদারির মধ্যে ছিল। এগুলোর মধ্যে একটি আইডি ব্যবহার করত ইসলামিক স্টেট আনসার উল তাওহিদ উল হিন্দের (আইএসএইউটি) কমান্ডার শফি আরমার (কোড নেম : ইউসুফ আল-হিন্দ)। তিনি এই আইডি আখলাক উর রহমানসহ আরও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করতেন। আখলাককে হরিদ্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রগুলো বলেছে, গোয়েন্দারা গ্রেফতারকৃতদের ফোনকল, ফেসবুক ও হোটসএ্যাপে বার্তা বিনিময় আড়ি পেতে শুনেছে ও দেখেছে। ইউসুফ ও আখলাকের মধ্যে জানুয়ারির মাঝামাঝি ফেসবুকে বিনিময় হওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘৭ কলশ রাখ দো’। এই কোডটি ‘সাত স্থানে বোমা হামলার পরিকল্পনা’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আর এই তথ্য সিআইএ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানায়। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই শঙ্কার বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে জানান। মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, দিল্লী ও উত্তরাখণ্ড থেকে শনিবার ওই জঙ্গীদের আটক করা হয়েছে। এদের সবাই আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে অনুমান করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। সূত্রের খবর, একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খোলার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছিল বলে ইন্টারনেটের কথোপকথন থেকে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও উত্তরাখণ্ড থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির মাল-মসলা। পরমাণু প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত করবে সামরিক স্থিতি পাকিস্তান ও ভারত সম্পর্কে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র তৈরি চালিয়ে যাওয়ায় দুটি দেশের মধ্যে সামরিক স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। চলতি মার্কিন আইন প্রণেতাদের কাছে পাঠানো এক কংগ্রেসনাল রিপোর্টে এ কথা বলা হয়। খবর ডনের। রিপোর্টের প্রণেতা কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস) উল্লেখ করে যে, পাকিস্তানের ভূখ-ের ওপর ভারতের সামরিক হামলা ঠেকানোই ইসলামাবাদের পরমাণু অস্ত্রগুলোর লক্ষ্য। কিন্তু পাকিস্তান এর পরমাণু উৎপাদন স্থাপনাগুলোর সংখ্যা বাড়াচ্ছে, আরও পরমাণু অস্ত্র ও নতুন ধরনের উৎক্ষেপণ যান মোতায়েন করছে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, ভারত ও এর পরমাণু অস্ত্রভা-ারের সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, কিন্তু যেহেতু রিপোর্টটি পাকিস্তান সম্পর্কিত, সেহেতু এতে পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচীর দিকেই দৃষ্টি দেয়া হয়। তবে রিপোর্টের প্রণেতারা স্বীকার করেন যে, পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা এ অঞ্চলে পরমাণু সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, পাকিস্তানের হাতে প্রায় ১১০-১৩০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, যদিও সেই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। রিপোর্টে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, ইসলামাবাদের পরমাণু অস্ত্রভা-ার সম্প্রসারণ, নতুন ধরনের পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং আক্রান্ত হলে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করা হবেÑ এ মতবাদ গ্রহণের কারণে কোন কোন পর্যবেক্ষক পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পরমাণু সংঘাত বেধে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন।
×