ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাইম স্কেল প্রথা বহাল রাখুন

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

টাইম স্কেল প্রথা বহাল রাখুন

সম্প্রতি সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পে-কমিশন গেজেটের ২০টি গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য নেটে ও পত্র-পত্রিকায় প্রচার করছে। লক্ষ্য করা গেছে, এতে ২০ থেকে ১২নং গ্রেডে আপাতদৃষ্টিতে বেতন বৃদ্ধি হলেও ওই গ্রেডগুলোতে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির হার ১৩ থেকে ১নং গ্রেডে কর্মরত কর্মকর্তাদের তুলনায় অনেকাংশে কম। ফলে সর্বনিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত কর্মকর্তাদের বেতনের মাঝে যুগ যুগ ধরে যে বৈষম্য চলে আসছে মূলত সে ধারার পুনর্প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে প্রকাশিত পে-কমিশন গেজেট ২০১৫-এ। বঙ্গবন্ধুকন্যার এ সরকারের নিকট এমন আশা করে না সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীরা। সরকারী প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থায় হাজার হাজার কর্মচারী আছে যাদের পদোন্নতি নেই। একই পদে ১৫-২০ বছর থেকে শেষমেশ অবসর গ্রহণ করে। এসব কর্মচারী সান্ত¡নাস্বরূপ ৮, ১২ ও ১৫ বছর পার হওয়ার পর তিনটি টাইম স্কেল যথাক্রমে পেয়ে থাকেন। অথচ এ সুযোগটা শেষ করে দিল প্রকাশিত ২০১৫ পে-কমিশন গেজেটে। ফলে লাখ লাখ কর্মচারী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত। এ বিষয়ে শিক্ষক সমাজ, বিসিএস ক্যাডার ছাড়াও পেশাজীবী ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার শ্রেণীসহ বহু পেশাজীবী প্রতিবাদ করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী কর্মচারীগণ সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রেসারের কারণে প্রতিবাদ করার সাহস না পেলেও তুষের অনলের মতো জ্বলছে তাদের হৃদয়। এতে জনমত হারাচ্ছে সরকার। এ প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৪০ বছরের প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ নয়; বরং সঙ্গত কারণে ন্যায্য দাবি টাইম স্কেল প্রথা পূর্বের নিয়মে বহাল রেখে বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার বিষয়ে মনোনিবেশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাইফুদ্দীন ফারুকী আসাকা, বি. বাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত পৌর নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা ও উদ্বেগের যে ডামাডোল হবে বলে ভোটারদের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল। প্রতিদিন সাংবাদিক সম্মেলন, নালিশ তথা আবদার নিয়ে নানারকম তদবীর নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা আপ্রাণ, প্রাণান্তর চেষ্টা করা হলেও সব বিতর্ক মোকাবেলা করে বর্তমান কমিশন মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সমর্থ হয়েছে। সরকারী দল এবং প্রতিপক্ষ বিরোধী দল এর সব চাপ উপেক্ষা করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে বর্তমান কমিশন সচেষ্ট থেকেছেন এবং সমর্থ হয়েছেন একটি সুন্দর নির্বাচন করার মাধ্যমে। তারপরও কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে ঘটেনি তা নয়। তবে যতটা বলা হয়েছে তা অমূলক। স্থানীয় সরকারের এত বড় একটা নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠানে ছোটখাটো কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। আশা করি নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ধাপে সব সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান করতে পারবেন। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের সাফল্য বেশি আর প্রধান বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা ধসের কারণ নিয়ে অনেক বিশ্লেষক অনেকভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে জ্বালাও পোড়াও, খুন খারাবীসহ তিনমাসের অপকর্মের কারণেই বিএনপি তার নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। তাই এই বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের এখন থেকে হিসাব কষতে হবে যে জনগণ শান্তি চায়। মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়েও বেগম জিয়া যে মন্তব্য করেছেন তাও নির্বাচনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই আশা করি সবাই ভুল শুধরে এগিয়ে যাবেন। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী বইমেলা হোক সবখানে বছর পরিক্রমায় ফেব্রুয়ারি মাস আসা মানেই বাংলা একাডেমির বইমেলা শুরু হওয়া। মাসজুড়ে চলতে থাকে এ মেলা, ফেব্রুয়ারি মানেই বাঙালীর ভাষার মাস, ফেব্রুয়ারি মানেই মাসজুড়ে বাঙালীর নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়া। পৃথিবীর আর কোথাও এমন চিত্র নেই, যে জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাই তো সেই ভাষা শহীদদের হৃদয়ে অমর করে রাখার জন্য ভাষার মাসজুড়ে চলতে থাকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। অক্ষরে অক্ষরে ভরে যায় বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ। বইমেলা এনে দেয় মনের ভেতর প্রশান্তির ছোঁয়া, বইয়ের প্রতি মায়া ভালবাসা জাগানো অনুভূতি, ভাষা সৈনিকদের অমর গাথা সংবলিত বাংলা অক্ষরে লেখা স্মারক বুকে ধারণ করা, এ যেন সত্যি এক পরশ পাথর যার ছোঁয়া নিতে সবাই কাছে আসতে চায়। কিন্তু সবাই তা পারে না। বাংলা একাডেমির বইমেলার মহাসমারোহে অংশ নিতে পারে না দূর-দূরান্তে থাকা অনেকেই। সবাই চায় নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে আর এ সুযোগ যদি করে দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করবে একুশের বইমেলা-ভাষার অমর গাথা। তাই, বাংলা একাডেমির বইমেলা দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আয়োজন করা হোক। প্রতিটি উপজেলায় একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজন করে নতুন বই সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি বাংলা একাডেমি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই আয়োজনটি সফল করবেন। ফারহা নূর বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী আর কত অপেক্ষা? অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। একটা পরীক্ষা দিয়েছিলাম। খাদ্য অধিদফতরে। চতুর্থ শ্রেণীর পদ। সেই কবে থেকে ফলের জন্য অপেক্ষা। ২০১৪ সালের নবেম্বরে পরীক্ষা শেষ হয়। এক নবেম্বর পার। আর এক নবেম্বর সামনে। তার আগে কি প্রকাশ হবে না খাদ্য অধিদফতরের পরীক্ষার ফল? চতুর্থ শ্রেণীর এমএলএসএস, স্প্রেম্যান সাইলো অপারেটিভ ও দারোয়ান পদে ২০১৪ সালের ১১ নবেম্বর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়। কিন্তু অদ্যাবধি রেজাল্টের কোন খবর নেই। এতে আমিসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী হতাশ। কারণ অনেকেরই চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আমরাও হতাশার শেষ সীমায় পৌঁছে যাচ্ছি। খাদ্য অধিদফতরের কী ঘুম ভাঙবে না? আমাদের হতাশার সাগরে ডুবে থাকতে হবে আর কতদিন? এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খাদ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের দিকে একটু তাকান। হতাশার সাগর থেকে উদ্ধার করুন, প্লিজ। সঞ্জয় কুমার কু-ু বেড়া, পাবনা ‘জয় বাংলা’য় অম্লান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ যখন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে তখন কোন কোন রাজনৈতিক দল তা বেমালুম ভুলে গেছে শুধুই ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সায়। কিশোরগঞ্জের এক জনসভায় গিয়ে এক বৃদ্ধ বিক্ষুব্ধ মন নিয়ে ফিরে এসে বললেন, বিএনপির জনসভায় গিয়ে দেখি ব্যানারে ফেস্টুনে লেখা রয়েছে রাজাকারদের নিঃশর্ত মুক্তি চাইÑ মুক্তি চাই। এই দল যদি আবারও রাজাকারদের নিয়ে ক্ষমতায় এসে যায় তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সকল চেতনা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। বৃদ্ধ আরও জানালেন, অনেকেই বলেন, বিএনপি একটি শক্তিশালী দল। যদি তাই হয় তাহলে তাদের সঙ্গে কেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা? ওদের সঙ্গ কি বিএনপি ছাড়তে পারে না? আমরা আর দেখতে চাই নাÑ বিভেদ, বিশৃঙ্খলা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, হানাহানি, অনৈক্য। কতিপয় বাঙালী কি পারে না মীর জাফর, ঘসেটি বেগমের চরিত্র পাল্টে সহজ-সরল হতে? সবাই ফিরে আসুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে চির অম্লান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা
×