নারীর প্রযুক্তি ব্যবসা। মফস্বল শহর মুুন্সীগঞ্জের শিশু পার্ক মার্কেটের ছোট্ট দোকান ‘কাজী কম্পিউটার’। পুরো প্রতিষ্ঠানটি একা চালাচ্ছেন এক নারী। এখানে প্রযুক্তির সবই ব্যবহার হচ্ছে। মোবাইলে লেনদেন ছাড়াও মোবাইল থেকেই ঝটপট চালু করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন অন্য কম্পিউটারে। হুলস্থূল কাজ। আদালতপাড়ার কাছে দোকানটি। তাই অফিস সময় বেজায় ব্যস্ত সময় কাটছে তার। এর পরও করছেন পড়ালেখা। সরকারী হরগঙ্গা কলেজ থেকে ¯œাতক করে ভর্তি হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ ল’ কলেজে। সেখানে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এই শহরে প্রযুক্তি নিয়ে নারীর এই জীবন সংগ্রাম ব্যতিক্রম। তার নাম শিরিন আক্তার। বয়স ২২ ছুঁই ছুঁই। এখনও পুরোপুরি সংসার শুরু করতে পারেননি। বাবা নেই। দুই ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে ষষ্ঠ শিরিন। বাড়ি শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরের কেওয়ার গ্রামে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও চলছে তার জীবন সংগ্রাম। দোকানটি ভাড়া নিয়ে একক প্রচেষ্টায় আশপাশের পুরুষ দোকানিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। মফস্বলে নারীর অগ্রযাত্রায় তার এই ভূমিকা প্রশংসনীয়। এর আগে যুব উন্নয়ন থেকে কম্পিউটার বিষয়ে কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনিই নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। আর মোবাইল প্রযুক্তির সবই তার নখদর্পণে। সমাজ সেবা অধিদফতরের কোর্সেও কিছুদিন প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এখন অনেক নারীও প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। অনেকে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে। বিশ্বায়ন আর তথ্য ও প্রযুক্তির ঢেউ লেগেছে মফস্বল শহর ছাড়াও গ্রামেগঞ্জে। মুন্সীগঞ্জের সব ক’টি প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখন পুরুষের চেয়ে নারীর সাংখ্যাই বেশি।
শিরিন আক্তারের মতো অসংখ্য গ্রামে নারী এখন নিজেদের স্বনির্ভর করার সংগ্রামে ব্যবহার করছে তথ্য ও প্রযুক্তিকে।
Ñমীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল
মুন্সীগঞ্জ থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: