ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোনারচর সৈকতে ভেসে আসছে জেলিফিশ ॥ সমুদ্র দূষণের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

সোনারচর সৈকতে ভেসে আসছে জেলিফিশ ॥ সমুদ্র দূষণের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালী অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র রাঙ্গাবালীর সোনারচর সৈকতে গত তিন-চারদিন ধরে ভেসে আসছে শত শত জেলিফিশ। সাগরের জোয়ারের স্র্রোতে এগুলো এসে ভাঁটির টানে বালুচরে আটকা পড়ছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মরে যাচ্ছে। পরে তা পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করছে। আবার জেলেদের জালেও প্রচুর জেলিফিশ আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মতেÑ সাগরের পানিতে লোনার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গল ও বুধবার থেকে সোনারচর সমুদ্র সৈকতে মৃত জেলিফিশগুলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক জেলে জানান, সাগরের জোয়ারের পানিতে প্রতিদিন শত শত জেলিফিশ উপকূলে ভেসে আসছে, যা সৈকতের বালুচরে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। পর্যটকরা জানান, জেলেদের জালেও প্রতিদিন প্রচুর জেলিফিশ ধরা পড়ছে। যা জেলেরা বালুচরে এনে ফেলে দিচ্ছে। জেলিফিশের শরীরে কোন ধরনের হাড় নেই। যে কারণে জেলিফিশগুলো হেঁটে আর সাগরে নেমে যেতে পারছে না। বালুচরেই মারা পড়ছে। জেলেদের কাছে জেলিফিশ ‘সাগরের নোনা’ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় জেলিফিশের নাম নেই, তাই এর কোন চাহিদা নেই। জেলেদের কাছেও এর কোন অর্থনৈতিক মূল্য নেই। বর্তমানে জেলিফিশের পচা দুর্গন্ধে পথ চলা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালীর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, জেলিফিশ গভীর সমুদ্রে বাস করে। প্রধানত দুটি কারণে এরা উপকূলে আসে। প্রথমত, সাগরের পানিতে সহনশীল মাত্রার চেয়ে লোনার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, সমুদ্র দূষণের কারণে আবাসস্থল বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আকম মোস্তফা জামান জানান, জেলিফিশ সাগরের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী। সমুদ্র দূষণের কারণে জেলিফিশের বাস অনুপযোগী হয়ে এমন বিপর্যয় হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
×