ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনের আয়োজন

চট্টগ্রামে ৫ হাজার শিক্ষার্থী বইপড়া কর্মসূচীতে পুরস্কৃত

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রামে ৫ হাজার শিক্ষার্থী বইপড়া কর্মসূচীতে পুরস্কৃত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বছরজুড়ে বই পড়া কর্মসূচীতে নিজের উৎকর্ষতার পরিচয় দেয়ার জন্য চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার ৩১৬ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার প্রদান করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে নগরীর চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমন্ত্রিত অতিথিগণকে সঙ্গে নিয়ে দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮০টি স্কুলের প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে মূল্যায়নপর্বে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদের পুরস্কার প্রদানের জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এই পুরস্কার বিতরণী উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবের প্রথমপর্বে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ দৌলতুজ্জামান খান, শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজিয়া আখতার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মোঃ মাসুদ ও অনুষ্ঠানের স্পন্সর গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি দেবাশীষ রায়। দ্বিতীয়পর্বে উপস্থিত ছিলেনÑ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীন, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন ও চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের সভাপতি ডাঃ মাঈনুল ইসলাম মাহমুদ। পুরস্কার বিতরণী উৎসবের প্রথমপর্বে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলনের প্রশংসা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি স্থায়ী দাপ্তরিক কার্যালয় বরাদ্দের ঘোষণা দেন। মেয়র নিজেকে আলোকিত ও সমৃদ্ধ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বই পড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, বই মানুষের হৃদয়কে সুন্দর করে, জীবনকে সমৃদ্ধ করে। আর সমৃদ্ধ হৃদয়ের মানুষরাই পারে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে। তোমরা বই পড়ে হৃদয়কে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশকে উন্নত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, তোমরা বই পড়, বই পড়লে তোমাদের হৃদয় সুন্দর হবে, তোমাদের ভাষা সুন্দর হবে। তোমরাও ভাল হবে, তোমরা ভাল হলে বাংলাদেশ ভাল হবে। তিনি এই পৃথিবীকে অশুভ লোকদের দখল থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্যও পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই পথচলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আগামী বছর এই বই পড়া কর্মসূচীর সদস্য সংখ্যা দুই লাখ থেকে আড়াই লাখে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
×