ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে চোরচক্র ফের সক্রিয়

ট্যাক্সির গায়ে লেখা মোবাইল নম্বরই অর্থ আদায়ের হাতিয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

ট্যাক্সির গায়ে লেখা মোবাইল নম্বরই অর্থ আদায়ের হাতিয়ার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে সিএনজি ট্যাক্সি ছিনতাইকারী চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ট্যাক্সির গায়ে লেখা মালিকের মোবাইল নম্বরই অর্থ আদায়ের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে ছিনতাইকারী চক্র। এভাবে মালিকদের দুর্বলতার সুযোগে কৌশল পরিবর্তন করে এই চক্র কিছুদিন পর পর সক্রিয় হয়ে স্বর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। চোর চক্রের অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে কয়েকটি অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের এজেন্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চোর চক্র ট্যাক্সি মালিকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে দাবিকৃত অর্থ। মঙ্গলবার এমন তথ্য পুলিশকে জানিয়েছে আন্তঃজেলা ট্যাক্সি চোর চক্রের কয়েক সদস্য। কিন্তু অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি না থাকায় চোরচক্র সহজইে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। চোরচক্র জানিয়েছে, প্রথমত চট্টগ্রাম নগরীর আশপাশের এলাকা বা উপজেলা থেকে যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নেয় চোরচক্র। পরে নির্জন স্থানে কৌশলে চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে মালিকের তথ্য জেনে নেয় চোরচক্র। পরবর্তীতে সিএনজি অটোরিক্সার মালিকদেরকে চালকের মোবাইল থেকেই কল দেয়া হয় অর্থ আদায়ে। তবে মালিকের সঙ্গে প্রথম কথোপকথনেই বোঝা যায় কি পরিমাণ অর্থ আদায় করা সম্ভব। প্রথমে মোটা অঙ্কের দাবিকৃত টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য বলা হয়। পরে চলে সমঝোতা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গাড়ি পাঠানোর বিপরীতেই চলে তাদের অর্থ আদায়। অনেক মালিক বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা পাঠানোর পরও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য আবারও মোবাইলে কল দেয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করছে এ চক্র। অর্থ আদায় হলেই রাতের গভীরে অটোরিক্সা পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে যায় নিজস্ব চালক। তবে বিশেষ করে সন্ধ্যার পরই তারা ট্যাক্সি ফেরত দেয়। আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোর দলের সক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর এবং ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন। পাঁচলাইশ থানা সূত্রে জানা গেছে, চুরি যাওয়া সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে গত মঙ্গলবার।
×