ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল-বাহরাইন শিরোপা লড়াই আজ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

নেপাল-বাহরাইন শিরোপা লড়াই আজ

রুমেল খান ॥ আন্তর্জাতিক ফুটবল আসর ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ’-এ আর মাত্র একটা খেলা বাকি। সেটা ফাইনাল ম্যাচ। আর আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় সেই ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাহরাইন অনুর্ধ-২৩ দল বনাম নেপাল জাতীয় দল। ম্যাচ শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, নেপালের সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গে কোন না কোনভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামটি! ২০০৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ‘এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ’-এর সেমিতে উঠেছিল নেপাল, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের মাটিতেই সাফ ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল তারা। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে নিজেদের মাটিতে সাফ ফুটবলের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল নেপাল, ওই বছরই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ‘গুর্খালিস’রা। এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিতে সেই অপ্রাপ্তি ঘোচাতে চায় তারা। যদিও বাহরাইনের লক্ষ্যও শিরোপা জয়। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে ওঠে নেপাল। নেপাল ফুটবল দলের কোচ বালগোপাল মহার্জন নব্বই দশকে ঢাকার ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনালে পরিকল্পনা অনুযায়ী দল সফল হয়েছে। ছেলেরা খুশি। তারা আত্মবিশ্বাসী। এখানে এসে আমরা অনেক অনুশীলন সেশন পেয়েছি। ১৭ বছর পর জাতীয় দল কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে। আমি আমার সেরাটা দিতে চেষ্টা করব।’ কোচ জানালেন বাংলাদেশটাকে তিনি তার দ্বিতীয় হোম মনে করেন। আর আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শকরা তাদেরই সমর্থন দেবেন বলে কোচের বিশ্বাস। সেই সঙ্গে নেপালের সমর্থক যারা মাঠে এসে তাদের উৎসাহ জাগিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান কোচ। দলীয় অধিনায়ক বিরাজ মহার্জন বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে ফাইনাল খেলতে পারছি। দলের সবাই খুব ভাল খেলেছে। প্রথমবার বাহরাইনের সঙ্গে খেলছি। ফাইনালে আমরা আমাদের সর্বস্ব উজাড় করে খেলব।’ আর আগের ম্যাচে রেফারির সঙ্গে অসদাচরণ করায় আজ ডাগআউটে নামতে পারছেন না বাহরাইনের কোচ মারজান ইদ। তার অনুপস্থিতির প্রভাব কিছুটা মাঠে পড়বে। তবে তা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেই বিশ্বাস বাহরাইনের দলীয় ম্যানেজারের। সহকারী কোচ ডি নসর জানালেন তার দলে কোন ইনজুরি নেই। কাপটা নিজেদের ঘরে নিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসী তার দল, ‘টুর্নামেন্টে সাফল্য পেয়েছি। ফাইনাল খেলতে ছেলেরা প্রস্তুত। কাপটা জিততে আমরা মুখিয়ে আছি।’ বাংলাদেশের আতিথেয়তায়ও মুগ্ধ বাহরাইন দল। টুর্নামেন্টে না থাকলেও বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা করেছে বাহরাইন দল। আগামীতে বাংলাদেশ ফাইনালে থাকবে এমনটা প্রত্যাশা বাহরাইনের সহকারী কোচের। আর বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে অনুর্ধ ২৩ দলের ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলে মনে করছেন এই কোচ।সেমিফাইনালে বড় জয় পেয়েছে নেপাল। তাই ফাইনালে তাদের হারানোটাও খুব সহজ হবে না বাহরাইনের জন্য। তবে দলের সহকারী কোচ আগে কি ঘটেছে সেদিকে নজর না দিয়ে ফাইনাল ম্যাচেই নজর দিতে চান। তারা তাদের মিশনে সফল হবেন বলেই প্রত্যাশা করছেন। এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে নেপাল তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মালয়েশিয়া একাদশের সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে ০-০ স্কোরে। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্রতে তাদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হয় বাংলাদেশেরও। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পড়ায় নেপাল গ্রুপ রানার্সআপ হয় (অপরাজিত) এবং শেষ চারে উন্নীত হয়। গ্রুপে সবচেয়ে কম গোল করে নেপাল, ১টি এবং একমাত্র দল হিসেবে তারা কোন গোল হজমও করেনি!
×