ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাকআপ তৈরি করতেই এই কৌশল ॥ খালেদ মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

ব্যাকআপ তৈরি করতেই এই কৌশল ॥ খালেদ মাহমুদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা টি২০ ব্যস্ততা। বড় দুটি টুর্নামেন্ট আসন্ন। এশিয়া কাপ টি২০ শেষ হতে না হতেই আবার টি২০ বিশ্বকাপ। চলতি বছরে এ ছাড়া অন্য কোন ফরমেটে তেমন ব্যস্ততা নেই বাংলাদেশ দলের। সে কারণে আসন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়াতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দল। মূলত জাতীয় দলে খেলার উপযুক্ত, যোগ্য ও দক্ষ ক্রিকেটারের ব্যাকআপ তৈরির জন্যই এবার জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তিন টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ঘটেছে ৬ ক্রিকেটারের। এর মধ্যে তৃতীয় টি২০-তে একই সঙ্গে ৪ ক্রিকেটার প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাপ পড়েছেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন অন্তত ১৯-২০ জনের একটি দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর এ দলটি নিয়েই চতুর্থ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ এমন আত্মবিশ্বাসই জানালেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল। আর সে কারণে বিভিন্ন সময়ে ইনজুরির ধাক্কাটাও ছিল বেশি। কারণ ম্যাচ বেশি খেলার চাপ। এখনও ইনজুরি সমস্যা আছে বেশ কয়েক ক্রিকেটারের। গত বছরের শুরুতেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়া এনামুল হক বিজয়ের পরিবর্তে ইমরুল কায়েস এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে আল-আমিন হোসেনকে বাদ দিয়ে শফিউল ইসলামকে দলে নেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিতেই হয় তাহলে দ্বিতীয় সারির শক্তিমত্তাসম্পন্ন বোলারদের তৈরি করতে হবে। একটা না একটা সময়ে তাদের অভিষেক হতোই। যদি মনে করে দেখেন গত অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে আল-আমিনের পরিবর্তে শফিউল গিয়েছিল। বিজয়ের পরিবর্তে ইমরুল গিয়েছিল। তারা কিন্তু প্রস্তুত ছিল না। অনুশীলন ছিল না তাদের। আমরা চাচ্ছি ১৯-২০ জনের একটা পুল যেন প্রস্তুত থাকে। আমাদের বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ ও এশিয়া কাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। মূল বিশ্বকাপের আগেও কিন্তু তিনটি প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে হবে। যদি কোন না কোন কারণে কেউ ইনজুরিতে পড়ে তাহলে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রস্তুত করতে হবে। এসব চিন্তা করেই এগুলো আসছে। এটা মনে রাখতে হবে সবাই জাতীয় দলে খেলার মতো যোগ্য ক্রিকেটার। তারা যোগ্য বলেই আজ জাতীয় দলে খেলছে।’ টি২০ ক্রিকেটে এখনও নিজেদের অবস্থানটা শক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কিন্তু ইতোমধ্যেই অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করলেন জাতীয় দলের ম্যানেজার সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ওভাবে বড় রান করতে পারিনা। আগে আমরা ১৪০-৩০ করে টি২০-তে লড়াই করছিলাম। আমরা যদি তিনটি ম্যাচ দেখি আমরা তিনটি ম্যাচে ১৬০ এর বেশি রান করেছি। এটা কিন্তু একটা উন্নতি। এই ১০-১৫ রান কিন্তু আমরা খুঁজছি। কোথা থেকে আমরা রানটা খুঁজে পাই। কাদের মাধ্যমে খুঁজে পাই। মূলত এগুলোই খোঁজা হচ্ছে। দলের ভেতরের সব কথা তো সবার সামনে উন্মুক্ত হয় না। তবে এগুলো নিয়ে এখন পরিকল্পনা চলছে। যেহেতু আমি ক্রিকেট খেলেছি ও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলাম তাই আমি বলছি বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগুচ্ছে।’ তবে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে সিরিজ জয়ের সুযোগটা তৃতীয় ম্যাচেই হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বেশি পরিবর্তন আনার জন্য। কিন্তু দ্বিমত জানালেন খালেদ মাহমুদ, ‘আমি মনে করি না। আমরা সব সময় মনে করি আমরা হারতে পারি, জিততে পারি। মাঠে আমরা সব সময় জয়ের জন্যেই খেলি। নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে এ রকম কোন কিছু হয়ে যায়নি। সবাই জানে সব কিছু। সবাই জানে আমরা গতকাল (বুধবার) আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। জিম্বাবুইয়ে আমাদের থেকে ভাল ক্রিকেট খেলেছে। তাদের ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। টি২০তে সবাই শক্তিশালী। আমার মনে হয় আমাদের বিশ্বাস আছে কালকে (আজ) আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
×