ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

এক সঙ্গে তিন শহরে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

এক সঙ্গে তিন শহরে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সব ছবি নির্মিত হয়েছে শিশুদের মননের খোরাক মেটাতে। এসব ছবির মধ্যে আবার অনেক নির্মাতা এদেশের খুদে ফিল্ম মেকাররা। শিশুতোষ এই ছবিগুলো নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বিশাল এক উৎসব। রাজধানী ঢাকাসহ রাজধানী ও সিলেটে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে উৎসবটি। দেখানো হবে বাংলাদেশসহ ৩০টি দেশের দেড় শতাধিক ছবি। কাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নবম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ সেøাগানে নবম বারের মতো উৎসবের আয়োজক চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। শনিবার বিকেল ৪টায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের উন্মুক্ত চত্বর ও শওকত ওসমান মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রদর্শিত হবে জার্মানির চলচ্চিত্র ‘মাই ফ্রেন্ড রাফি’। ঢকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হবে গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন। ৯ দিনের উৎসবে উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি করে প্রদর্শনী হবে মূল ভেন্যুতে। অপর দুই ভেন্যু ধানম-ির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে সকাল ১১টা, দুপুর ২টা ও বিকেল ৪টায় প্রদর্শনী হবে। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবকসহ শিশুদের জন্য উন্মুক্ত। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সোসাইটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ, চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্্নী, উপ-উৎসব পরিচালক আবির ফেরদৌস ও উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রাণ আর এফ এলের কর্মকর্তা এ কে এম মঈনুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ। এবারও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশী শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এ বিভাগে জমা পড়া ৮০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ৩৩টি ছবি প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ৫টি ছবি পুরস্কৃত হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে স্মারক, সনদপত্র ও আর্থিক প্রণোদনা। পুরস্কারের জন্য গঠিত ৫ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। ছোটরাই বাছাই করবে তাদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবিগুলো। আরও থাকছে বড়দের নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এ বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সমালোচক সাজেদুল আউয়াল ও জাকির হোসেন রাজু। এ ছাড়া তরুণ নির্মাতাদের জন্য থাকছে ইয়ং বাংলাদেশী ট্যালেন্ট এ্যাওয়ার্ড ও সোশ্যাল ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড। আগামী ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী সেমিনার। দুই পর্বে বিভক্ত এ সেমিনারের বিষয় ‘শিশুদের ওপর নির্যাতন’। ২৭ জানুয়ারি থাকছে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা। এটি পরিচালনা করবেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। উৎসবের বিভিন্ন ভেন্যুতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জনানো হয়েছে। উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি হবে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে সকল বিভাগের প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হবে। এবারের উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। ইয়াঙ্কে এ্যারেন্সের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ॥ ড্যানিশ গবেষক ইয়াঙ্কে এ্যারেন্সের ‘উইমেন, ল্যান্ড এ্যান্ড পাওয়ার ইন বাংলাদেশ : ঝগড়াপুর রিভিজিটেড’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। বইটি প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঠক সমাবেশের গুলশান কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বইটি নিয়ে আলোচনা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরলাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউপিএলের সম্পাদনা ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মালেহা মাজিন খান। বইটি নিয়ে আলোচনায় জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বইটির প্রথম সংস্করণ চার দশক আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হয়। যার পর তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানো হয়। তিনি বইটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন। আর এরশাদ এ বই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছিলেন নারীর উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অতি দ্রুত বইটির বাংলা সংস্করণ বের করতে হবে। কোন লেখক অনুবাদ করে দিলে গণস্বাস্থ্য থেকে বইটি প্রকাশ করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এই বইটি দেশের রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পড়া উচিত। কারণ, নারীর উন্নয়ন হচ্ছে; কিন্তু তার পরও নানা বাধা রয়েছে। নারী যেমন ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছে, তেমনি বোরকার সংখ্যাও বাড়ছে। সেই সঙ্গে নারী রঙের অধিক ব্যবহার বাড়ছে। তা শুধুই পুরুষকে আর্কষণ করতে। মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, ইয়াঙ্কে আমার বান্ধবী। তিনি এই কাজটি করতে গিয়ে খুবই খেটেছেন। আমি তার পাশে থেকে দেখেছি। এদেশের মানুষের প্রতি ভালবাসার জন্যই তিনি কাজ করেছেন। বইটিতে তিনি নারীর অগ্রযাত্রার পথে সব বাধাকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন। ইয়াঙ্কে এ্যারেন্সের ‘উইমেন, ল্যান্ড এ্যান্ড পাওয়ার ইন বাংলাদেশ : ঝগড়াপুর রিভিজিটেড’ বইটি মূলত তার পিএইডির অভিসন্দর্ভ। অভিসন্দর্ভটি ২০১৩ সালে এশিয় গবেষকদের ৮ম আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণায় ‘সর্বাপেক্ষা সুপাঠ্য ও মনোজ্ঞ পুরস্কার’ লাভ করে। বিজ্ঞান অনুপ্রাণিত চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর সমাপ্তি ॥ বিজ্ঞানের নানা বিষয় থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবি এঁকেছেন আরিফ আহমেদ। রং-তুলির আঁচড়ে ক্যানভাসে মেলে ধরেছেন মহাবিশ্বের রহস্যময় সব বিষয়। এসব ছবি নিয়ে উন্মাদ পত্রিকার আয়োজনে ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীর শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে আন্ডার কনস্ট্রাকশন ॥ আজ শুক্রবার রাজধানীর চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র আন্ডার কনস্ট্রাকশন। প্রেক্ষাগৃহগুলো হলো বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস, বলাকা ও শ্যামলী। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি ছবির চিত্রনাট্যও করেছেন রুবাইয়াত হোসেন। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে ছবিটির বাংলাদেশ প্রিমিয়ার হয় ১৪ জানুয়ারি। গত জুনে উত্তর আমেরিকার সিয়াটল চলচ্চিত্র উৎসবে হয় ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। খনা টকিজ প্রযোজিত দ্বিতীয় এই ছবিটি এরপর অংশ নিয়েছে ২২টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ফিলিপিন্সের সালামিন্দানাও এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে জিতেছে গোল্ডেন ডুরিয়ান পুরস্কার। বলিউড তারকা শাহানা গোস্বামী ও রাহুল বোসসহ চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন শাহাদাত, মিতা চৌধুরী, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, রিকিতা নন্দিনী শিমুসহ অনেকে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শিল্পী অর্ণব।
×