অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। একই সঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রফতানি আয় বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৮০ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৯ কোটি ৮৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এই খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হোম টেক্সটাইল পণ্যের মধ্যে বিছানা ও রান্নাঘরের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ কোটি ৪ লাখ ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিছানা ও রান্নাঘরের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ২২ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অন্যান্য হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ কোটি ২০ লাখ ৭০ মার্কিন ডলার। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই খাতে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এই খাতের পণ্য রফতানি ৫০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ফুটওয়্যার পণ্য রফতানিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন। চলতি অর্থবছরে এই খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে ফুটওয়্যার পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
