ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগ প্রস্তুত করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। অন্যদিকে দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি এবার পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের লক্ষ্যে তাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তসহ বিভিন্ন দালিলিক ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে গঠিত কমিটির প্রধান ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা (আইও) মতিউর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগ প্রস্তুত করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তদন্ত সংস্থা। এ পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামি পাঁচজন হলেন- শামসুল হোসেন তরফদার, মোবারক মিয়া, নেসার আলী, ইউনুস আহমেদ এবং ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী। তাদের মধ্যে ইউনুস আহমেদ ও ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। বুধবার তদন্ত সংস্থার ধানম-ির কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান খান প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হরি দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। বুধবারই প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান আব্দুল হান্নান খান। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন। ২০১৬ সালে এটিই তদন্ত সংস্থার প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে আরও ৩৪টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তদন্ত সংস্থা। হান্নান খান সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় যা বুধবার ২০ জানুয়ারি ২০১৬ সালে প্রকাশ করা হয়। আগামী ২৩ জানুয়ারি এ মামলায় তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। গত বছরের ১৩ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিনই জেলার রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রামের আসামি ওজায়ের আহমেদ চৌধুরীকে (৬০) মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা থেকে ও সোনাটিকি গ্রামের মৌলভী ইউনুছ আহমদকে (৭০) তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাকিস্তানি ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের পাশাপাশি এবার পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের লক্ষ্যে তাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তসহ বিভিন্ন দালিলিক ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি ১৯৫ সেনা কর্মকর্তা যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে গঠিত কমিটির প্রধান ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা (আইও) মতিউর রহমান। আইও মতিউর রহমান বলেন, ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত বিভিন্ন দালিলিক ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এটি কোন আনুষ্ঠানিক তদন্ত নয়।
×