ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকল জিম্বাবুইয়ে

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকল জিম্বাবুইয়ে

মামুন রশীদ ॥ পরীক্ষা-নিরীক্ষাটার ব্যাপকতা যেন বেশিই ছিল সিরিজের তৃতীয় টি২০ ম্যাচে। জয়ী দলের সমন্বয় সাধারণত ভেঙ্গে ফেলে না কোন দলই। সেখানে টানা দুই টি২০ জয়ের পর সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাঁচটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। সেটার খেসারত দিতে হয়েছে ৩১ রানে হেরে। বুধবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে জিম্বাবুইয়ে। এটি ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের টি২০তে সর্বোচ্চ রান। ৩ উইকেট শিকার করে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান তিন ফরমেটের ক্রিকেট মিলিয়ে ৪০০ উইকেট শিকারের গৌরব অর্জন করেন। এ ম্যাচে ৪ জনের অভিষেকও ঘটে। তবে পরিবর্তনের জন্য নয় বরং পরিকল্পনাগুলো মাঠে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়াতেই হেরেছে দল এমন দাবি করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। জয়ের ফলে সিরিজে টিকে থাকল জিম্বাবুইয়ে। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শুক্রবার চতুর্থ ও শেষ টি২০ ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার। একসঙ্গে চারজনের চেয়েও বেশি অভিষেকের ঘটনা আছে বাংলাদেশের টি২০ ক্রিকেটে। নিজেদের অভিষেক টি২০ ম্যাচের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেছিল বছর খানেক পর। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে সেই ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ৬ ক্রিকেটারের। এর আগে দ্ইুবারের মতো এবারও চার ক্রিকেটার আবু হায়দার রনি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুক্তার আলী ও মোহাম্মদ শহীদের অভিষেক হয়েছে। বৃষ্টির কারণে টস বিলম্বে হলেও নির্দিষ্ট সময়েই খেলা শুরু হয়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুইয়ে উড়ন্ত সূচনা করে। টি২০ ক্রিকেটে নতুন মুখ দুই পেসার শহীদ ও রনির ওপর তা-ব চালিয়েছেন দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। ৪ ওভারেই ৪৫ রান তোলার পর মাসাকাদজাকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন শহীদ। তবে দারুণ ব্যাটিং করেছেন সিবান্দা (৩৩ বলে ৪৪), রিচমন্ড মুতুম্বামি (১৪ বলে ২০), শন উইলিয়ামস (২৬ বলে ৩২) ও ম্যালকম ওয়ালার (২৩ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯)। সে কারণেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ (১৮৭/৬) রানের বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুইয়ে। রনি প্রথম স্পেলে সুবিধা করতে না পারলেও শেষ করেছেন দুই উইকেট নিয়ে। আর সাকিব নেন ৩ উইকেট। জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই ইমরুল কায়েসের (১) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকার। সাব্বির আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক বঞ্চিত হলেও এবার ৩২ বলে ৫০ রান করে ফিরে যান। এরপরই বাংলাদেশ ইনিংসে ধস নামান দুই স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার ও সিকান্দার রাজা। শেষদিকে নুরুল হাসানের ১৭ বলে ৫ চারে ৩০ ও মুক্তারের ১৫ বলে ১৯ রানের অপরাজিত দুটি ইনিংস শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে বাংলাদেশ। ক্রেমার তিনটি ও সিকান্দার দুটি উইকেট নেন। পরাজয়ের পর মাশরাফি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার সব সময় গুরুত্ব থাকে ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে। দলের পক্ষ থেকে বলতে পারি আমরা অবশ্যই ম্যাচ হারতে চাইনি। যেই খেলুক, তাদের সবার সুর্নিদিষ্ট করে পরিকল্পনা দেয়া উচিত ছিল। হয়তো কেউই আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শেষ কয়েকদিন তাদের দেখা হচ্ছিল। তারপরও সবমিলিয়ে আমি মনে করি মাঠের পরিকল্পনাগুলোতে আমরা আপ টু দা মার্ক ছিলাম না। এ জন্যই ম্যাচটা হেরেছি।’
×