ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়র আনিসুল হকের দাবি ॥ এপ্রিলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাথ হকারমুক্ত করার ঘোষণা

খাল উদ্ধারে ব্যর্থ হলে ওয়াসাকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিন

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

খাল উদ্ধারে ব্যর্থ হলে ওয়াসাকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাথ হকারমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। এছাড়া ওয়াসা রাজধানীর অবৈধ দখলে রাখা খালগুলো উদ্ধার করে বর্ষাকালে ঢাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করতে না পারলে খালগুলোর দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের হাতে তুলে দিতে কিংবা ওয়াসাকে সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করতে সরকারের কাছে দাবি জানাবেন বলে জানান মেয়র। বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদশ ইউনিভার্সিটির (বিইউ) আরবান ল্যাব মিলনায়তনে ‘ঢাকা টুমোরো’ শীর্ষক এক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, ৩৩নং ওয়ার্ড কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীবসহ ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিশনারবৃন্দ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার, বিইউর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কামরুল হাসানসহ সকল অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন বিইউর বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্য পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বড় রাস্তাগুলোর মধ্যে যেসব রাস্তায় মানুষ বেশি চলাচল করে সেগুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। এছাড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি ফুটপাথ রাখতে হয় তবে তা সুবিন্যস্তভাবে রাখা হবে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সমস্ত বাস ও ট্রাকের জন্য টার্মিনাল করতে জায়গা খোঁজা হচ্ছে। ঢাকাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য তিন হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার এসি বাস থাকবে। এছাড়া ১৯০টি বাস কোম্পানির মালিকদের সমন্বয়ে মাত্র পাঁচটি কোম্পানিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। যেটা অসম্ভব হলেও অনেকটা সম্ভব হয়েছে। এসব বাসে রঙের দিক থেকেও মিল থাকবে। রাস্তায় শৃঙ্খলভাবে চলবে। কেউ কাউকে ওভারটেক করতে পারবে না। এছাড়া একই কাতারে দুটি বাস রাখতে দেয়া হবে না। রাস্তায় বাস ট্রাক রেখে যানজট তৈরি করা বা পরিবেশ নষ্ট করার বিষয়ে মেয়র বলেন, এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে স্থানীয় লোকজন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর। মোহাম্মদপুরের কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীবের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, শুধু তার আন্তরিকতার কারণে আজ মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ও বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তাটি সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত। তিনি তার এলাকার সাধারণ নাগরিক ও নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে আজ সফল হয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির সামনে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছিল। বর্তমানে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত ও এখানে কোন বাস থামতে দেয়া হয় না। আমরা ডিএনসিসির এরকম ১০টি স্থানকে যানজটমুক্ত করেছি।
×