ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মন্তব্য এরশাদের

৭৬ বছর বয়স বলেই রওশনকে কো-চেয়ারম্যান করিনি

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

৭৬ বছর বয়স বলেই রওশনকে কো-চেয়ারম্যান করিনি

রাজন ভট্টাচার্য ॥ ভাগ্যই বটে তাঁর। একেবারে সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপতি। যাকে বলে সামরিক শাসক। এর মধ্যে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুরু থেকেই তিনি দলের চেয়ারম্যান। নানা সময় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধে দল ভেঙ্গেছে। গেল ৩০ বছরে পাঁচ ধারায় টুকরো টুকরো দলটি। এর মধ্যে খ-িত চারটি অংশই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত। তবে মূলধারা হিসেবে এরশাদকেই মানুষ চেনে। যে কারণে দল ভাঙলেও নেতাকর্মীদের কাছে ‘জাতীয় পার্টি’ বলতে এরশাদের অংশই পরিচিত। নিজের ভাইকে কো-চেয়ারম্যান, বাবলুকে মহাসচিবের পদ থেকে বাদ দেয়া ইস্যুতে স্ত্রী রওশনের সঙ্গে দল দখলের লড়াইয়ে হয়ত আবারও ভাঙনের মুখে পড়তে পারে জাপা। তবে বিষয়টি একেবারেই নাকচ করে দিয়েছেন এরশাদ নিজেই। বলেছেন, দল ভাঙ্গনের কোন সুযোগ নেই। এদিকে বুধবার এক অনুষ্ঠানে আগামী এপ্রিলে দলীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রওশনকে কো-চেয়ারম্যান করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন তার বয়স ৭৬ বছর। এরশাদ যে ভাগ্যবান মানুষ তা তিনি নিজেও বোঝেন। উপলব্ধি বেশ। দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অকপটে স্বীকার করে বলেছেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোন সামরিক শাসককে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনীতিতে টিকে থাকার ইতিহাস নেই। মানুষের ভালবাসায় আমি টিকে আছি। থাকব। যতদিন আছি থাকব মানুষের জন্য কাজ করে যাব। উন্নয়ন করেছি বলেই, মানুষ আমাকে মনে রেখেছেন। ভালবাসেন’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকার হটিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেনাপ্রধান এরশাদ। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশ শাসন করেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনর্প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ঘোষণা করে ১৯৮৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এর আগেই তিনি দল গঠন করেন। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন। এরপর থেকে পতিত স্বৈরশাসক হিসেবে তাঁর পরিচিতি। সব দলের নেতা জাপায় ॥ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ আরও কয়েকটি দল থেকে নেতাদের বাগিয়ে গঠন করেছিলেন জাতীয় পার্টি (জাপা)। মন্ত্রিত্ব দিয়ে খুশি করে দল টিকিয়ে রেখেছিলেন। সেময়ের পরিক্রমায় জাতীয় পার্টি এখন পাঁচ ভাগে বিভক্ত। জাতীয় পার্টি নামে এখন মাঠে সক্রিয় দল আছে পাঁচটি দল। এরশাদের পতনের পর থেকে কয়েকবার ভাঙন ধরে দলে। এর মধ্যে তিনটি ভাঙন ছিল বড় ধরনের, তারা দল থেকে বেরিয়ে একই নামে আবার দল করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দলটির আরও কিছু নেতা দলছুট হয়েছেন। একাধিকবার ছোট ছোট ভাঙনের মুখে পড়তে হয়েছে দলটিকে। বড় ভাঙনগুলো হয়েছিল মূলত বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে। কখনও আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে আবার কখনও ভেঙেছে মন্ত্রী হওয়া নিয়ে। পার্টিতে ভাঙ্গন ॥ এরশাদের জাতীয় পার্টিতে প্রথম বড় ধরনের ভাঙন ধরে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বেরিয়ে যাবার পর। তিনি এক পর্যায়ে আলাদা জাতীয় পার্টি ঘোষণা করলে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠনের সময় জাতীয় পার্টি প্রথমে তাদের সমর্থন দিলেও পরে চারদলীয় জোটে চলে যায়। তখন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এরশাদের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙন ধরে। নাজিউর রহমান মঞ্জু জাতীয় পার্টি নামে আরেকটি দল গঠন করে এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অংশ হয়ে নির্বাচনে যায়। বর্তমানে এই অংশের নেতৃত্বে আছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। এই অংশটির ভেতরও আরেকটি ভাঙন আছে। মন্ত্রিত্ব নিয়ে ঝামেলার একপর্যায়ে এম এ মতিন আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করেন। এক-এগারোর সময়ও জাতীয় পার্টি দুটি অংশে বিভক্ত হয়েছিল, পরে অবশ্য এ দুটি অংশই এরশাদের নেতৃত্বে এক হয়ে যায়। সর্বশেষ এরশাদের জাতীয় পার্টিতে ভাঙন ধরান তার পুরনো রাজনৈতিক সহকর্মী কাজী জাফর আহমেদ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে কাজী জাফর এরশাদকে ছেড়ে আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করে যোগ দেন বিএনপি জোটে। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দলের বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন জাতীয় পার্টির ঘোষণা দেন কাজী জাফর। একই সঙ্গে তিনি এরশাদকে বহিষ্কারেরও ঘোষণা দেন। ১৯৮৪ সালে এরশাদ প্রথমে ‘জনদল’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের গোড়াপত্তন ঘটান। ৮৫ সালের প্রথম দিকে এরশাদ দুটি প্রধান বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাতে সক্ষম হন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা কোরবান আলী ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল হালিম চৌধুরীকে তিনি মন্ত্রিত্ব দেন। পনেরো দলীয় জোটের শরিক দল মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পাঁচদলীয় জোটের শরিক ইউপিপির কাজী জাফর আহমেদ ও সিরাজুল হোসেন খানের গণতন্ত্রী দল জোট ছেড়ে এরশাদের সঙ্গে যোগ দেয়। বিএনপির একটি অংশের নেতা শামসুল হুদা চৌধুরী ও ড. এম এ মতিন এবং আওয়ামী লীগের সাবেক চীফ হুইপ মোশতাকের ডেমোক্রটিক পার্টির নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনও এরশাদের সঙ্গে হাত মেলান। এছাড়া বিএনপির জিয়াউদ্দিন আহমেদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মতো কিছু নেতা, মুসলিম লীগের একাংশের নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী, দলবিহীন বিশেষ ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও এরশাদের সঙ্গে হাত মেলান। ১৯৮৫ সালের শেষ দিকে এরশাদ তার জনদল, বিএনপির একাংশ, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি এবং মুসলিম লীগের সমন্বয়ে গঠন করেন জাতীয় ফ্রন্ট। একপর্যায়ে কাজী জাফর স্বেচ্ছায় ইউপিপি ভেঙে দিয়ে এরশাদের দলে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির বর্তমান সদস্য মওদুদ আহমদও সে সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। আর জাতীয় পার্টির নিজস্ব পরিচিতিতে বলা আছে, ১৯৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি জাতীয় ফ্রন্টের ৫টি শরিক দল একত্র হয়ে জাতীয় পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। নবগঠিত পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন এইচএম এরশাদ এবং মহাসচিব নিযুক্ত হন এম এ মতিন। এখন এরশাদ ও তার স্ত্রী রওশনের দ্বন্দ্বে পার্টি আবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে জাপায় এরশাদ ও রওশনকে কেন্দ্র করে দলে দুটি বলয় তৈরি হয়। সে দুটি বলয় এখন প্রকাশ্য দুই শিবিরে বিভক্ত। বিরোধী দলের পদ পেতে রওশন একটি পক্ষকে আগলে রেখেছেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে দুই বছর পরও বিরোধী দলের চীফ হুইপ নির্বাচিত করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে দু’পক্ষই প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গিয়েছেন। তাতেও সুরাহা হয়নি। সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচনেও উভর পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা গেছে। গত রবিবার রংপুরে এরশাদ তার ভাই জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এর একদিনের মাথায় সোমবার রওশনপন্থীরা এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এরশাদ বলেছেন, রওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা অবৈধ। তবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মহাসচিবের পদ খেয়েছেন তিনি। গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে মহাসচিব হিসেবে ফের ফিরিয়ে এনেছেন রুহুল আমিন হাওলাদারকে। রওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় আলাদা জাতীয় পার্টি হলো কিনা এ বিষয়ে জানতে এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাপা ভাঙবে না। রওশনকে আমিই কো-চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার বয়স হয়ে যাওয়ায় ভাই কাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এরশাদ এখন স্ত্রী রওশনের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, রওশনের মান ভাঙলেই থামবে দলের আরেকদফা ভাঙ্গন। সেইসঙ্গে সাংগঠনিক দুর্বলতাও চরমে পৌঁছাবে না। কাউন্সিলে চেয়ারম্যান থাকবেন না এরশাদ ॥ আগামী এপ্রিলে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল। এ কাউন্সিলে নেতাকর্মীরা চাইলে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বুধবার বনানীতে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের দায়িত্ব অর্পণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় এরশাদ বলেন, নেতাকর্মীরা যাকে চেয়ারম্যান হিসেবে চাইবেন, সেই দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আরও বলেন, বাবলুর বাবা যখন অসুস্থ ছিল, তখন আমি নিজ খরচে ব্যাঙ্ককে গিয়ে দেখে এসেছি। ওকে আমি সন্তানের মতো দেখতাম। কিন্তু ও সেলফিশের মতো আচরণ করেছে। আমি যখন রংপুরে ছিলাম, আমার স্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ কারণেই তাকে মহাসচিব পদ থেকে বাদ দিয়েছি। রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রশংসা করে এরশাদ বলেন, মহাসচিব পদ থেকে বাদ দেয়ার দুই বছরে সে আমার বিরুদ্ধে একটি কথাও কাউকে বলেনি। বুকের ভেতর চাপা রেখেছে। এটা শুধু আনুগত্যের কারণে। কিন্তু এই সেলফিশ (বাবলু) আমি ঢাকার বাইরে যাওয়ার পর আমার স্ত্রীকে বিভ্রান্ত করেছিল। আমি বেঁচে থাকতে সে এই কাজ করল!’ এরশাদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী রওশন এরশাদকে কো-চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার বয়স এখন ৭৬ বছর। ৩ বছর পর আগামী নির্বাচনের সময় তার বয়স হবে ৭৯ বছর। সেসময় তিনি চলতে পারবেন কি না আমি জানি না। আমি নিজেও চলতে পারব কি না জানি না। নির্বাচনের কাজে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হয়। এসব চিন্তা করেই জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করেছি।’ জিএম কাদেরকে সৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন সাবেক কমার্স মিনিস্টার হওয়া সত্ত্বেও উনার সংসার চালাতে প্রতি মাসে আমাকে খরচ দিতে হয়। পৌর নির্বাচনে ভয়াবহ ভরাডুবি প্রসঙ্গে এরশাদ দুঃখ করে বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনে ২৪টিতে জয়লাভ করেছে অথচ আমরা পেয়েছি মাত্র একটি। কারও কোন বদনাম নেই, সব বদনাম এরশাদ সাহেবের। কারণ আমি দলের দায়িত্বে আছি। অথচ আমি পরিশ্রম করি, দলে পয়সা দিই। কেউ টাকা দেয় না, পরিশ্রম করে না। সবাই বড় বড় কথা বলে। অফিস খরচসহ সব খরচ দিই আমি। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। এই চেয়ারসহ সবকিছু আমার। জনগণ জাতীয় পার্টিকে বৃহৎ দল মনে করে না উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘জনগণ দেখে আমরা সরকারে আছি। যখন আমরা ভোট চাইতে যাই তখন জনগণ বলে, আপনি তো সরকারের সাথে আছেন। আপনাকে ভোট দেব কেন? আপনি যেহেতু সরকারে তাহলে নৌকায়ই ভোট দেব। বিএনপিকে বিধ্বস্ত দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের নেতাকর্মীরা কারাগারে। তারপরও ২৪টি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। আমরা পেয়েছি একটি। আমরা বাইরে আছি, বেঁচে আছি। আমাদের জন্য সত্যিই লজ্জা হয়। এদিকে বুধবার রাতে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, নতুন মহাসচিব হাওলাদার কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। এ সময় বিপুলসংখ্যাক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
×