ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ও অসাংবিধানিক ॥ নজরুল

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ও অসাংবিধানিক ॥ নজরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন করে কখনও আওয়ামী লীগ জয়লাভ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এ কারণেই বর্তমান সরকার চায় না, বিএনপি নির্বাচনে যাক। তারা মনে করে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কখনোই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। অবসরে যাওয়ার পর প্রধান বিচারপতির রায় লেখার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় এসেছে, দেশের প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে, অবসর গ্রহণের পর যে রায় লেখা হয়, সে রায় বেআইনী এবং অসাংবিধানিক। তাহলে যে রায়ের রেফারেন্স দিয়ে আপনারা পঞ্চদশ সংশোধনী করলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিলেন, সেই রায় তো আজকের প্রধান বিচারপতির ভাষায় বেআইনী ও অসাংবিধানিক।’ তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের পর পঞ্চদশ সংশোধনী ‘বাতিলযোগ্য হয়ে গেছে’ এবং দেশের জনগণও তাই চায়। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারই দেশের গণতন্ত্রকে জবাই করেছে। আওয়ামী লীগই ৯৬ সালে এদেশে প্রথম সংসদ বর্জন করেছিল। প্রথম সংবিধানে জরুরী অবস্থার আইন ছিল না। তারাই সংশোধনী এনে সংবিধানে জরুরী অবস্থার আইন চালু করেছিল। ওই ভুলের কারণেই দেশে ওয়ান-ইলেভেন হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন লম্বা লম্বা কথা বলে আর বিএনপির ওপর দোষ চাপায়। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে নজরুল ইসলাম বলেন, বহু বছর ধরে আমরা বলে আসছি, নির্বাচন করার যে বিধান জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা অনুযায়ী সবার সম্মতিতে করা হয়েছে, তা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তারপরও আপনারা বাতিল করলেন না। আপনারা কী বলেছেন? আদালতের রায়ে আছে। অথচ আজকে প্রধান বিচারপতি বলেছেন অবসরের পর রায় লেখা বেআইনী ও সংবিধান পরিপন্থী। প্রতিবাদ গত ১০ জানুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে ‘নিজামীর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় পেটালেন শিক্ষিকাকে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক সহকারী প্রধান কৃষি প্রকৌশলী শমশের আলী। তিনি দাবি করেছেন, সংবাদটি বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। বিদ্যুতের মিটার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই বাড়ির এক মহিলার সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। তিনি কোন শিক্ষিকাকে মারধর করেননি। শিক্ষিকা নামধারী ওই মহিলাই তাকে দাড়ি ধরে ও খামচে রক্তাক্ত করে। এ সংক্রান্ত একটি মামলা রাজধানীর ভাটারা থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি কোনকালেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের সমর্থক এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য ছিলেন। প্রকাশিত রিপোর্টে তার মৌখিক বক্তব্য ছাপা হলেও গত ১৬ জানুয়ারি তিনি লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানান।
×