ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন পদে একই কর্মচারী

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস দুর্নীতির আখড়া

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস দুর্নীতির আখড়া

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাশিয়ার পদটি শূন্য থাকার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে ওই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান। তিনি একাধারে কম্পিউটার অপারেটরের পাশাপাশি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অফিসে ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে¡ নিয়োজিত রয়েছেন। সরকারী জনগুরুত্বপূর্ণ অফিসের তিনটি পদে একজন ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি অফিসগুলোকে দুর্নীতি আর অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চাকরিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ঠিকাদারের সঙ্গে জয়েন্টভেঞ্চারে ঠিকাদারী করে প্রতিবছর সরকারী কয়েক কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ নিয়ে শহরের টেকপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ইতোমধ্যে কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। জানা যায়, কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে ২০০৩ সালের দিকে আসাদুজ্জামান কম্পিউটার অপারেটর পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে এ অফিসের ক্যাশিয়ার বদলিজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়ে পড়ায় তার কপাল খুলে যায়। অফিসের কম্পিউটার অপারেটর পদটি পাশাপাশি লুপে নেন ক্যাশিয়ারের পদটিও। তারা আরও জানান, কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল ও বুধবার চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরেও ক্যাশিয়ার পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে। দুইটি জেলা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকটা জিম্মি করে রেখেছেন তিনি। তার এতই প্রতাপ আর দাপটের পেছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, অনিয়ম আর দুর্নীতি করার কোন সুযোগ ক্যাশিয়ারের নেই। তবে কম্পিউটার অপারেটর আসাদুজ্জামান তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করার কথা স্বীকার করেন তিনি। রেলের সম্পত্তি উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২০ জানুয়ারি ॥ চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে রেলওয়ের দুই কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পটিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গৌতম বাড়ৈ। পটিয়া উপজেলার মুজাফরাবাদ ও চন্দনাইশের মুরাদাবাদ এলাকায় রেলওয়ের সম্পত্তিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। খুঁটি ভেঙ্গে ট্রান্সফরমার মাটিতে নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা), ২০ জানুয়ারি ॥ দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরীবাজারে বুধবার হঠাৎ পল্লী বিদ্যুতের কাঠের খুঁটি ভেঙ্গে ৩টি টান্সফরমার মাটিতে পড়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। দুর্গাপুর তেরীবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব সভাপতি মোহন মিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ফটোঘর স্টুডিও সংলগ্ন, পল্লী বিদ্যুতের ৩টি ট্রান্সফরমারসহ অত্যধিক ওজনের কারণে পুরাতন কাঠের খুঁটিটির মাঝামাঝি বিকট শব্দ করে ভেঙ্গে পড়ে সদর রাস্তার ওপর।
×