নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ২০ জানুয়ারি ॥ প্রায় ৫০ প্রকার পিঠা নিয়ে জমজমাট পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে কালীগঞ্জে। একই মেলায় প্রদর্শন করা হয় বিষমুক্ত জৈব শস্য। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে এ মেলা। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের যৌথ আয়োজনে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের আন্দোলনকে বেগবান করার উদ্দেশে দিনব্যাপী জৈব শস্য ও পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকাল থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় শহর ও গ্রাম থেকে এসেছেন গৃহবধূ, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অসংখ্য মানুষ। রকমারি পিঠার ডালি সাজিয়ে বসেন গৃহবধূরা। মেলায় জৈব চাষে নিবেদিত কৃষক, কৃষক সংগঠন, কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়ন সংগঠন এবং অন্যান্য ২৪ প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য, কৃষি উপকরণ, প্রকাশনা ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং দেশীয় নানারকম পিঠার স্টল প্রদর্শন করে। তাদের পিঠার মধ্যে ছিল, পাটিসাপটা, উষ্ণগুঞ্জা, ফুলঝুরি, ভাজাপুলি, পানিদৌলা, পাকান পিঠা, বাঁধাকপির বড়া, সবজিভাঁপা, সেমাই রসগোল্লা, সেমাই কাটসেট, চুসিপিঠা, চন্দ্রপুলি, সরভাজা, ম্যারাপিঠা, ছানার জিলাপি, সিমফুল, ঝিনুকপিঠা, হৃদহরণ, ময়মনসিংহের বিবিখানাসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠা। এছাড়া জৈব চাষে নিবেদিত কৃষক, কৃষাণীরা করেন বিষমুক্ত জৈব শস্য প্রদর্শন। প্রতিবছর এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হলে অনেক অজানা কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন বলে দাবি দর্শনার্থীদের। এ মেলার আসতে পেরে খুশি তারা বলে জানান।
কালীগঞ্জ লেডিস ক্লাবের সভাপতি ফারহানা আরজু বলেন, শুধু শীতকালে নয়, প্রতিমাসেই নানান ধরনের পিঠা বানিয়ে নিজেরা খাওয়াসহ বাচ্চাদেরও খাওয়ানো এবং কৃষক কৃষাণীদের বিষমুক্ত জৈব শস্য উৎপাদানে উৎসাহ দিতে আমরা এ আয়োজন করেছি। এছাড়া প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে এ ধরনের রকমারি পিঠা মেলা ও বিষমুক্ত জৈব শস্য প্রদর্শন মেলার আয়োজন করা হলে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বাঙালীর চিরাচরিত পিঠা-পুলির ঐতিহ্য। এছাড়া বিষমুক্ত খাবার খেয়ে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে চলতে পারবে বলে তিনি জানান।
এর আগে সকালে মেলার উদ্বাধন করেন, ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব আবু ইউসুফ রেজাউর রহমান। সে সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জৈব শস্য ও পিঠামেলার আহ্বায়ক শাহনাজ পারভীন, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার শরিফা আক্তার প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: