ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের দাবি

৫ লাখ ৬০ হাজার লোকের পিটিশন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বর্ণবাদী নির্বোধ, বক্তৃতাবাজ, ভাঁড় ও বিরক্তিকর ব্যক্তি’ তকমা দেয়া হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সোমবার পার্লামেন্টে এমপিরা এক বিতর্কে অংশ নেন। তবে ডান ও বামপন্থী বেশির ভাগ এমপি এ মার্কিন ব্যবসায়ী ও ‘স্টার অব দ্য এ্যাপ্রেন্টিস ইন দ্য ইউএস’ ট্রাম্পের ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছেন। খবর এএফপি, গার্ডিয়ান ও বিবিসির। তিন ঘণ্টার বিতর্কে এমপিরা মুসলিম, নারী, পঙ্গু মানুষ, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও অন্যান্য ইস্যুতে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক সমালোচনা করেন। এমপিদের অনেকেই বলেছেন, ট্রাম্প সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বিদ্বেষকে আরও উস্কে দিয়েছেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ এমপির মধ্যে প্রায় ৫০ এমপি এ বিতর্কে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ৫ লাখ ৬০ হাজার লোক একটি পিটিশনে স্বাক্ষরের পর পার্লামেন্টে এ বিষয়ে বিতর্কের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কোন বিষয়ে বিতর্কের জন্য এক লাখের বেশি লোকের আবেদন প্রয়োজন হয়। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানানোর পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে পড়েন তিনি। ব্রিটেনে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে সমর্থন জানানো এমপিদের মধ্যে কয়েকজন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) এমপিও রয়েছেন। অপরদিকে, কনজারভেটিভ ও লেবার নেতৃত্ব এ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন। ওকহিল ও সাউথ পার্থশায়ারের এসএনপি সদস্য তাসমিনা আহমেদ শেখ বলেছেন, ট্রাম্প বর্ণবাদী। ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করতে তিনি তার জোরালো সমর্থন জানান। আরেক এসএনপি সদস্য এ্যানি ম্যাকলাফলিনও ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে তার মতো দিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবিতে হ্যাম্পস্টেড এ্যান্ড কিলবার্ন আসনের লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও বক্তব্য রাখেন। অন্য লেবার ও টরি এমপিরা এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বাতিল করে দিয়ে বলেন, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তারা মনে করেন, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ছিল। কিন্তু তাই বলে এখন যদি তাকে ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়া না হয় তাহলে সেটি হবে ‘এ্যান্টি-আমেরিকান’। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’, ‘মূর্খতা’ ও ‘ভুল’ বলে অভিহিত করলেও তিনি নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নন বলে জানিয়েছেন। সোমবার ক্যামেরন বলেন, টিউলিপের বক্তব্যের মূল ভাষ্যের সঙ্গে একমত হলেও ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে তিনি বাধা দিতে চান না। তিনি বলেন, বরং এ সুযোগে আমরা দেখাতে পারি, তার কথার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যবাসী একমত। ক্যামেরন যুক্তরাজ্যকে ‘বহু-জাতি ও বহু-বিশ্বাসের সমন্বয়ে গঠিত একটি সফল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, উগ্রবাদী কিংবা তাদের ধ্যান-ধারণাকে ঠেকানোর পাশাপাশি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আরও অনেক কিছু করার সুযোগ আমাদের আছে। লেবার এমপি পল ফ্লিন বলেন, ট্রাম্পকে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে নাÑ এ মতের পক্ষে বহু মানুষের জোরালো দাবি রয়েছে।
×