ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজদিখানে আলুর জমিতে নাভিধসা ॥ কৃষক বিপাকে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

সিরাজদিখানে আলুর জমিতে নাভিধসা ॥ কৃষক বিপাকে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ আলু উৎপাদনের সর্ববৃহৎ জেলা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় আলুর জমিতে নাভিধসা রোগ দেখা দিয়েছে। বিস্তৃীর্ণ জমির এই রোগে হতাশায় পড়েছে কৃষক। তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়ে যাচ্ছে কৃষক। এ অবস্থায় অব্যাহত থাকলে আলুর ফলন আশানুরূপ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সিরাজদিখান উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ডায়মন্ট এবং অ্যাস্টারিক্স জাতই প্রধান। মোট আবাদকৃত জমির প্রায় ৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর ডায়মন্ট এবং ১ হাজার ৯০ হেক্টর অ্যাস্টারিক্স. ২৪০ কার্ডিনালসহ অন্যান্য জাতের আলু রোপণ হয়েছে প্রায় ২০ হেক্টর। সিরাজদিখান উপজেলার আলুচাষী কুসুমপুর গ্রামের জমির আলী ১৮ একর, শিয়ালদী গ্রামের ভবন দাস ১৪, দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের সমরেশ নাথ ১২ একর জমিতে আলুচাষ করেছেন। তাদের জমিতে এই রোগ দেখা দিয়েছে। চলতি আলুর মৌসুমে এই নাবী ধসা রোগে কৃষকদের বিপাকে ফেলেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, আক্রান্ত জমির বেশিরভাগই অ্যাস্টারিক্স জাতের। কৃষকদের এ রোগের প্রকোপ সম্পর্কে সচেতন ও আগাম সর্তকীকরণ বার্তা প্রচার করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে গত ১৮ জানুয়ারি মাইকিং করা হয়েছে। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সকল মাঠকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তারা কৃষক ও কীটনাশক ডিলারদের মাঝে প্রায় ১ হাজার সচেতনমূলক লিফলেট বিতরণ করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, এ পর্যন্ত প্রায় এক হেক্টর রোগাক্রান্ত জমি শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, আলু গাছের বয়স প্রায় ৬০-৭০ দিন। এখন পর্যন্ত রোগটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলা যায়। রোগের প্রকোপ যাতে আরও বাড়তে না পারে এবং ক্ষতির মাত্রা কম রাখতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গণ কৃষকদের পাশে থেকে তাদের কার্যকরী ছত্রাকনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ন কবির জানান, রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
×