ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদকবিরোধী বিতর্ক উৎসব উদ্বোধন

মাদকের বিস্তার রোধে সব পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

মাদকের বিস্তার রোধে  সব পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদকের অপব্যবহার একটি জাতীয় সমস্যা। তাই শুধুমাত্র আইনের প্রয়োগ করে মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে না। এজন্য সমাজের সকল শ্রেণীর লোককে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এজন্য দরকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন। আর এ আন্দোলন আমাদের পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। শুধুমাত্র পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, সব পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদকের বিস্তার রোধ করতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সপ্তাহব্যাপী মাদকবিরোধী বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে জমকালো এ বিতর্ক অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রকিবুর রহমান, অধিদফতরের ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনজন বিচারক বিচারকার্য পরিচালনা করেন। ‘সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই মাদকের অপব্যবহার বাড়ছে’ শীর্ষক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যৌথভাবে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। মাদকবিরোধী এবারের উৎসবের সেøাগান হচ্ছে- ‘মাদকমুক্ত তরুণ প্রাণে, গড়ব দেশ যুক্তির গানে’। অনুষ্ঠানে শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল এ্যান্ড কলেজ, মিরপুর ও ভিকারুননিসা নূন কলেজের মাঝে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্ক শেষে আইজিপি বলেন, ২০১৪ সালে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং অন্যান্য বাহিনী মিলে মোট ৪২ হাজার ৫০১টি মাদক বিষয়ক মামলা করেছে। শুধু পুলিশের পক্ষেই মামলা হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার। ২০১৪ সালে সারাদেশে আটক করা হয়েছে ৫১ হাজার ৬৯২ জনকে। ২০১৫ সালে মামলা করা হয়েছে ৪৭ হাজারের বেশি আর আটক করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৫৭৬ জনকে। শুধুমাত্র ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৭টি। ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে ৮৫ হাজারের বেশি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে ৮০-এর দশকে মাদক যখন ভয়ানক আকার ধারণ করেছিল তার ওপর ভিত্তি করে তা রোধ করতে সরকার ১৯৯০ সালে এ বিষয়ক একটি কঠোর আইন প্রনয়ণ করে। যার বাস্তবায়নকারী হিসেবে শুধু পুলিশ নয়, অসংখ্য মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা হয়। এর ফলে পরে মাদকের বিস্তার অনেকটা কমে আসে। তবে এরপরও কিন্তু আমরা মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারিনি। এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এ কারণেই সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমের মাদক বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই এবং ব্যবহার বন্ধ করতে চাই। সপ্তাহব্যাপী চলা এ অনুষ্ঠানে মিরপুর শহীদ স্মৃতি কলেজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সপ্তাহব্যাপী উৎসবে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, সাউথ পয়েন্ট কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কলেজসহ ঢাকার খ্যাতনামা কলেজগুলো অংশগ্রহণ করবে।
×