ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাহরাইন-নেপাল ফাইনাল শুক্রবার

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

বাহরাইন-নেপাল ফাইনাল  শুক্রবার

রুমেল খান ॥ শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যখন তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জয় কুড়িয়ে নেয়, তখন সেটাকে অঘটন বলা যেতেই পারে। যদিও ফুটবলে সবই সম্ভব। আর সেই সম্ভবটা মঙ্গলবার করে দেখালো ‘গুর্খালিস’ খ্যাত এবং হিমালয়ের দেশ নেপাল। ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ’-এর দ্বিতীয় সেমির দ্বৈরথে ১৬০ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী ‘রেড ¯œ্যাপার্স’ খ্যাত মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে তারা। জয়ী দলের মিডফিল্ডার নবযুগ শ্রেষ্ঠা হ্যাটট্রিক করেন যা চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক। আগামী শুক্রবার নেপাল ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাহরাইনের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল পাঁচটায়। ম্যাচ শেষে নেপালের কোচ বাল গোপাল মহার্জন বলেন, ‘টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ভাল দল হিসেবে আমরাই খেলেছি। সুইং, এ্যাটাকিং, বল নিয়ন্ত্রণ ... সব কিছুতেই আমরা এগিয়ে ছিলাম প্রতিপক্ষের চেয়ে। সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে যাওয়ার জন্য যে চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা আমরা জিতেছি।’ তিনি আরও যোগ করেন ‘আজকের ম্যাচে আমাদের খেলার মুভমেন্ট খুব ভাল ছিল। আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে উন্নতি করেছি। ছেলেরা আমার পরিকল্পনা সফল করতে পেরেছে দলকে ফাইনালে উঠিয়ে। এ জন্য আমি তাদের জন্য গর্বিত।’ এ নিয়ে ১৫ বারের মোকাবেলায় মালদ্বীপ জিতেছে ৭ বার, নেপাল জিতেছে ৪ বার। বাকি ৪ ম্যাচ ড্র হয়। মালদ্বীপের ২০ গোলের বিপরীতে নেপাল করেছে ১৯টি। এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে নেপাল তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মালয়েশিয়া একাদশের সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে ০-০ স্কোরে। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্রতে তাদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হয় বাংলাদেশেরও। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পড়ায় নেপাল গ্রুপ রানার্সআপ হয় (অপরাজিত) এবং শেষ চারে উন্নীত হয়। গ্রুপে সবচেয়ে কম গোল করে নেপাল, ১টি এবং একমাত্র দল হিসেবে তারা কোন গোল হজমও করেনি! পক্ষান্তরে ‘বি’ গ্রুপে মালদ্বীপ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৩-২ গোলে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে শুভ সূচনা করে। পরের ম্যাচেও জয়যাত্রা অব্যাহত রাখে তারা। এবার তাদের কাছে পরাভূত হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল (২-০)। তৃতীয় ও শেষ গ্রুপ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে বাহরাইন অনুর্ধ-২৩ দলের সঙ্গে। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে নাম লেখায় তারা। বাংলাদেশের দুটি দল এবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল। একটি জাতীয় দল, আরেকটি অলিম্পিক দল।
×