ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিএল ফিক্সিংয়ে আজীবন নিষিদ্ধ চান্ডিলা

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

আইপিএল ফিক্সিংয়ে আজীবন নিষিদ্ধ চান্ডিলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালসের খেলোয়াড় অজিত চান্ডিলাকে। সোমবার মুম্বাইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলা কমিটি আচরণবিধি ভঙ্গ ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে এ শাস্তি দেয়। এছাড়া দুর্নীতি দমন শাখার নিয়ম ভঙ্গের জন্য মুম্বাইয়ের ক্রিকেটার হিকেন শাহকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এদিন স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত আম্পায়ার আসাদ রউফকেও ডাকা হয়েছিল তার বক্তব্য জানানোর জন্য। তবে তিনি নিজে হাজির না হলেও তার বক্তব্য লিখে পাঠান। রউফ লিখিতভাবে জানান, স্পট ফিক্সিং নিয়ে বোর্ডের তদন্তে তিনি খুশি নন। আসাদ রউফের পুনরায় তদন্তের দাবি অবশ্য খারিজ করে দেয় বিসিসিআই-এর শৃঙ্খলা কামিটি। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে রাজস্থান রয়্যালস তারকা শ্রীশান্ত, অঙ্কিত চাভানের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অজিতকে। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক-ঘরোয়াসহ সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন ভারত জাতীয় দলের ক্রিকেটার শ্রীশান্ত। বহুল আলোচিত আইপিএল স্পট ফিক্সিং কা-ে তখন শ্রীশান্তসহ তিন ক্রিকেটারের দোষ প্রমাণিত হয়। বিসিসিআই কর্তৃক অধিকতর তদন্ত ও শুনানি শেষেও তারা দোষী প্রমাণিত হন রাজস্থান রয়্যালসের তিন খেলোয়াড় শ্রীশান্তসহ অপর দু’জন। তার আগে দিল্লী পুলিশই কেবল অভিযুক্তদের দোষী বলে আসছিল। পরে বিসিসিআই কর্তৃক ঘৃণ্য কর্মকা- উন্মোচিত ও প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি পান জাতীয় তারকা শ্রীশান্ত ও অপর ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালে আইপিএলের ষষ্ঠ আসরে সরাসরি স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ মেলায় আজীনের জন্য নিষিদ্ধ হন তারা। তবে কৌশলগত কারণে ঘটনার অন্যতম হোতা অপর অজিত চান্দিলার বিষয়ে এতদিন রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। অবশেষে ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকেও পাপের পরিণতি বরণ করতে হলো। এছাড়া সরাসরি স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত না থাকলেও জুয়াড়িদের প্রস্তাব সম্পর্কে সবকিছু জেনেও ক্রিকেট বোর্ডকে অবহিত না করার দায়ে দোষী প্রমাণিত হন অমিত সিং ও সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী। ফলে উদীয়মান এই দুই ক্রিকেটারকে যথাক্রমে পাঁচ ও এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিসিআই। ২০১৩ আইপিএলের ষষ্ঠ আসরে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হওয়ার পর ওই বছরই জুন মাসের শুরুতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিল দিল্লী পুলিশ। আর বিসিসিআইয়ের চূড়ান্ত এই প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে নেয়া হয় আরও কঠোর অবস্থান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার (আইসিসি) দুর্নীতি দমন বিভাগ আকসু ও বিসিসিআই মিলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে। ক্রিকেটে যে কোনভাবে কারও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় না দেয়ার মনোভাব ফুটে ওঠে ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে।
×