ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশী নিহত, আহত ২

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

কুড়িগ্রামে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশী নিহত, আহত ২

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শালঝোড় সীমান্তে বিএসএফের বেধড়ক মারপিটে আব্দুল গনি (৫০) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়। আহত হয় আলাউদ্দিন (৩০) ও রইস উদ্দিন (২৫) নামের অপর দুজন গরু ব্যবসায়ী। সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আহত আলাউদ্দিন ও রইস উদ্দিন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও নিহত গরু ব্যবসায়ীর লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। পরে তারা ঐ সীমান্তের ৯৮৮ নম্বর সীমানা পিলারের পার্শ্ববর্তী কালজানী নদীর পাড়ে পানির মধ্যে লাশটি ফেলে রাখে। এলাকাটি জিরো লাইন ঘেঁষা বাংলাদেশের ভূ-খ-ের অভ্যন্তরে অবস্থিত। নোম্যান্স ল্যান্ড হওয়ায় সেখানে কেউ যেতে পারেনি। বিজিবি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। নিহত আব্দুল গণি শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের সুজুর উদ্দিনের পুত্র। বিজিবি এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানালে দু’দফা পতাকা বৈঠকের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির সুবেদার তরিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে প্রথমে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২০ মিনিট স্থায়ী পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্যটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ২০ মিনিট স্থায়ী পতাকা বৈঠকটি হয়। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিজিবি পক্ষে ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেন এবং বিএসএফ পক্ষে ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট এ কে শিং নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বিজিবি পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে বিএসএফ পক্ষ গরু ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া, মারপিট এবং হতাহত করার কথা অস্বীকার করেছেন। তাহলে হতাহতের ঘটনা কী ভাবে ঘটল তার কোন জবাব দেয়নি বিএসএফ পক্ষ। শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, শালঝোড় কাজিয়ার চর সীমান্তের ৯৮৮ নম্বর সীমানা পিলারের পার্শ্ববর্তী এলাকা দিয়ে সোমবার ভোরে কয়েক ব্যক্তি গরু আনার জন্য ভারতের ভূ-খ-ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঝুলোলী ক্যাম্পের টহল দল আব্দুল গনি এবং আলাউদ্দিন ও রইস উদ্দিনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারপিট করে।
×