ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রানী এলিজাবেথের সম্মাননায় বাংলাদেশী তরুণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

রানী এলিজাবেথের সম্মাননায় বাংলাদেশী তরুণ

বাংলাদেশী তরুণ রকিবুল হাসান মহামান্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্মানে প্রবর্তিত ‘কুইন্স ইয়ং লীডার’ প্রোগ্রামে মনোনীত হয়েছেন। গত ৮ ডিসেম্বর, ‘দ্য কুইন্স ইয়ং লীডার প্রোগ্রাম’ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেয়। রকিব (তার ডাকনাম) ‘ঐরমযষু ঈড়সসবহফবফ জঁহহবৎ-টঢ়’র বিশেষ বিভাগে এই সম্মাননা অর্জন করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্বের কমনওয়েলথভুক্ত পঞ্চাশেরও অধিক রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। এই বছরব্যাপী প্রোগ্রামের মধ্যদিয়ে রকিব যুক্তরাজ্যর বিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লিডিং চেঞ্জ’ নামক স্বতন্ত্র অনলাইন লিডারশিপ কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে মহামান্য রানীর উত্তরাধিকার টিকিয়ে রাখতে, গতবছর ৯ জুলাই মহামান্য রানীর পক্ষে, স্বয়ং দ্য ডিউক অব কেমব্রিজ রাজকুমার হ্যারি কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে প্রভাবশালী যুবনেতৃত্ব অনুসন্ধান করা শুরু করেন। নারায়ণগঞ্জে বেড়ে উঠা রকিব ছাত্র জীবনের শুরুর দিকে নানামুখী স্বেচ্ছাসেবক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সমাজে নানামুখী সহিংসতার প্রকৃতি ও কারণ বিষয়ে গবেষণা করছেন। গঠনমূলক নেতৃত্ব ও বিকাশে তিনি তরুণ সমাজকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন রাষ্ট্র অথবা সমাজের প্রকৃত মুক্তি যুব সমাজের গুণগত বিকাশের মধ্য দিয়ে অর্জিত হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশী সমাজে ভিন্ন ধারায় নেতৃত্ব বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৪ সালের শুরুর দিকে প্রতিবেশী ভারতের মণিপুর রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী ভি কে দুগোল তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ‘বিশ্ব যুব এওয়ার্ড-২০১৪’ প্রদান করেন। একই বছরের শেষের দিকে, উদীয়মান ৪৬ দক্ষিণ এশীয় পেশাজীবীদের একজন হিসাবে, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস শান্তিপ্রতিষ্ঠা বিষয়ক নেপালে এক আঞ্চলিক কর্মশালায় তাকে প্রেরণ করে। বর্তমানে তিনি ডেনমার্কে ওমেন ডেলিভারের দেয়া তিন বছরব্যাপী ফেলোশীপ করছেন। রাজধানীর নটরডেম কলেজে অধ্যয়ন করার সময় তিনি নানা ধর্ম-জাতি-সংস্কৃতির সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশার অপূর্ব সুযোগ পান। তার ভেতরে সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের বিকাশে এই মহতী বিদ্যাপীঠ ও পবিত্র খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী পুরোহিতদের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে। ডিপ্রজন্ম ডেস্ক বিদায় লেমি ৭০ বছর বয়সী লেমি গত ডিসেম্বর মারা যান। প্রায় ৪০ বছর ধরে তিনি হেভিমেটাল সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড মটর হেডের বেস গিটার বাজাতেন এই শিল্পী। অন্য কারও চেয়ে দ্রুত, জোর এবং কঠিন সব কর্ড ব্যবহার করার জন্য দর্শকের পছন্দের তালিকায় থাকা এই সুরকার হেভি মেটাল সঙ্গীতের একজন গুরু এবং ফ্রন্টম্যান। যার আসল নাম ইয়ান কিলমিসটার প্রথম জীবনে লেমি জিমি হেনড্রিকের একজন রোডি হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৭১ সালে যোগ দেন একটি সাইকেডিলিক ব্যান্ডে। এই সময় লেমি আল্ট্রা ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ডওয়েভ ব্যবহার করে সারা ফেলে দেন। পরবর্তীতে গঠন করেন ব্যান্ড মটর হেড। লেমি তাঁর জীবনের বাকিটা সময় এই ব্যান্ডে কাটিয়ে দেন এবং সফল হোন। মটর হেডের প্রথম এ্যালবাম থেকেই মার্কিন শিল্পাঙ্গনে এক ধ্রুবতারা হিসেবে আবির্ভূত হয়। ব্যান্ডটি কেবল ইউরোপ কিংবা আমেরিকা নয় বরং দক্ষিণ আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। লেমি ব্যান্ডটির বেস ও ড্রামস বছরের পর বছর বাজিয়ে আসছিল। সূত্র : গার্ডিয়ান
×