ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে সেই ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

বরিশালে সেই ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ক্ষমতার দম্ভে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে জনসম্মুখে দু’দফা মারধরকারী আগৈলঝাড়া থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছেন সহকারী পুলিশ সুপার। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন অভিযুক্ত ওসি মনিরুল ইসলাম। হাসপাতালে শষ্যাশায়ী আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার চিকিৎসার ব্যয়ভার ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সূত্রমতে, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমেছেন গৌরনদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাঈমুর রহমান। তিনি সকালে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি সেরাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদল সেরনিয়াবাতের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল আগৈলঝাড়ার দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের সিরুর দোকানে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এএসপি নাঈমুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে। তদন্তসাপেক্ষ দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অপরদিকে ওসি মনিরুল ইসলাম ও থানার পিকআপচালক মোকলেছুর রহমানের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদলের চাচা জুলফিকার আলী জানান, ঘটনার পরপরই বাদলের সু-চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার ॥ বিকাশ এজেন্ট আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১৮ জানুয়ারি ॥ শুক্রবার নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে অপহৃত ১১ জেলেসহ একটি ফিশিংবোট চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে গন্ডামারার সাগরচর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ১১ জেলেকে সোমবার বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশের পর থানা পুলিশ জেলে ও ফিশিংবোটটি মালিকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় বিকাশ এজেন্ট মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের মুক্তিপণ আদায়ের এখন নতুন বাহক বিকাশ। বিকাশ নম্বরে টাকা পৌঁছলে অপহৃত জেলে ও ফিশিংবোট ছেড়ে দেয় জলদস্যু বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় হাতিয়ার অপহৃত জেলে ও ফিশিংবোটটি ছাড়িয়ে নিতে জলদস্যু বাহিনীকে মুক্তিপণ বাবদ দুই লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠানো হয়। পরবর্তী টাকা পৌঁছানোর আগেই পুলিশ ওই বিকাশ নম্বরে গিয়ে হাজির হয়। পুলিশ এ ঘটনায় পশ্চিম বড়ঘোনা সকালবাজার থেকে জলদস্যুদের মুক্তিপণের বাহক বিকাশ (০১৮৬০৩৩৩৫৮৬৯) এজেন্ট নম্বরের স্বত্বাধিকারী হাজী বশির আহমদ ক্লথ স্টোরের মালিক মৌলভী ওয়াহিদুল্লহকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
×