ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষায়িত বস্ত্র রফতানিতে মন্দা

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

বিশেষায়িত বস্ত্র রফতানিতে মন্দা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে বিশেষায়িত বস্ত্র রফতানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। তবে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে রফতানি আয় ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিশেষায়িত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এ খাতের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিশেষায়িত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এ খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। বিশেষায়িত বস্ত্রের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে টেরি গামছা রফতানিতে ২ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি এটি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। স্পেশাল ওভেন ফেব্রিক রফতানি করে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে আয় হয়েছে ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ২২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে। গামছা ও ওভেন ফেব্রিক রফতানি ইতিবাচক থাকলেও কমেছে বোনা কাপড় রফতানি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে। আলোচ্য সময়ে অন্যান্য বিশেষায়িত বস্ত্রের রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার ৩২ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি এটি। চট্টগ্রামে মানববর্জ্য থেকে সার তৈরিতে চুক্তি স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরীর আনন্দবাজার এলাকায় গড়ে তোলা হবে একটি প্ল্যান্ট, যা থেকে তৈরি হবে জৈব সার। এ লক্ষ্যে সোমবার সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ও দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান ছিদ্দিকী এবং ডিএসকের সিনিয়র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ আবদুল হাকিম নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। কর্পোরেশনের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আলম। চসিক সূত্রে জানানো হয়, সমঝোতা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চসিকের মালিকানার ৭ গ-া জমির ওপর গড়ে উঠবে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, যা বাস্তবায়ন করবে ডিএসকে। সেখানে ডাম্পিং করা হবে চট্টগ্রাম নগরীর সেফটিং ট্যাংকগুলোর বর্জ্য। এরপর অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হবে সার। চসিক মেয়র চট্টগ্রামকে গ্রীন ও ক্লিন সিটিতে রূপ দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জৈব সার ও জ্বালানি তৈরির গারভেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থাকলেও মানববর্জ্য থেকে সার তৈরির কোন প্রকল্প সিটি কর্পোরেশনের ছিল না। ডিএসকের সহযোগিতায় উৎপাদিত সার জনস্বার্থে কাজে লাগানো হবে।
×