ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বস্ত্র খাতের প্রাধান্যের দিনে সূচক ও লেনদেন বাড়ল

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

বস্ত্র খাতের প্রাধান্যের দিনে সূচক ও লেনদেন বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দুই বাজারে সোমবারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর দর ও চাহিদা বাড়ার দিনে সূচকে ইতিবাচক কম পড়লেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাজার। কারণ দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা থাকলেও বস্ত্র খাত থেকে এক প্রকার মুখ ফিরিয়েই নিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু সোমবারে খাতটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ আগ্রহ দেখা গেছে। শুধু তাই নয় দিনটিতে দরবৃদ্ধি ও লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খাতটির একাধিক কোম্পানি। তবে দিনটিতে প্রধান সূচক বাড়লেও বাছাই সূচকটি কিছুটা কমেছে। দিনশেষে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি টাকার শেয়ার। তবে গত কার্যদিবসের তুলনায় দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেন। এদিন ডিএসইতে ৬১ দশমিক ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের তুলনায় ১০৭ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫১২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘদিন পরে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার অবম্যূলায়িত অবস্থায় ছিল। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতেই আবারও বিনিয়োগকারীরা খাতটির প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। এছাড়া রবিবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর সংগঠনের নেতাদের সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী খাতটি নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন। এমনকি আগামীতে জিএসপি ফিরে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এমন আশাবাদও শোনা যাচ্ছে। সব মিলে সোমবার ছিল বস্ত্র খাতের। সার্বিকভাবে মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশই এ খাতের লেনদেন। সোমবারে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার দর। ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১২১ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- এমারেল্ড অয়েল, জিপিএইচ ইস্পাত, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, সাইফ পাওয়ারটেক, গোল্ডেন সন, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি থাই, আইটিসি, সিটি ব্যাংক এবং তাল্লু স্পিনিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ভ্যানগার্ড মিউচুয়াল ফান্ড, এসিআই ফর্মূলেশন, রংপুর ফাউন্ড্রি, সামাতা লেদার, জুটস স্পিনার্স, কেডিএস এক্সেসরিজ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল টি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল। এদিকে ঢাকার বাজারে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির দিনে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের লেনদেনেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে সিএসই সার্বিক সূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ৯১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জিপিএইচ ইস্পাত, ইউনাইটেড এয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, গোল্ডেন সন, ডেল্টা স্পিনার্স, সাইফ পাওয়ার, রিজেন্ট টেক্সটাইল, বিডি ওয়েল্ডিং ও তাল্লু স্পিনিং।
×