ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুঃসহ অভিজ্ঞতা...

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

দুঃসহ অভিজ্ঞতা...

২৩ বছর বয়সী কার্লা জেসিন্টো। সমাজের অন্য পাঁচ মেয়ের তুলনায় তার জীবনের অভিজ্ঞতা আলাদা। কারণ টানা চার বছর তাকে ধর্ষণ করেছে একদল মানবপাচারকারী। জীবনের এই সময়ে তাকে ৪৩ হাজার ২শ’ বারের বেশি ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এখন নিজেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মেক্সিকোর এই মেয়েটি। গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন তার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। সচেতনতা তৈরি করছেন মানবপাচারের মতো বিভীষিকাময় কারবারের বিরুদ্ধে। অবশ্য তার জীবনে ধর্ষণের মতো বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে ৫ বছর বয়সে। সে সময় এক নিকটাত্মীয় তাকে ধর্ষণ করে। গণমাধ্যমকে জেসিন্টো বলেন, ২০০৮ সাল। আমার বয়স তখন ১২ বছর। মেক্সিকো সিটির এক সাবওয়েতে অপেক্ষা করছিলাম এক বন্ধুর জন্য। এ সময় এক বৃদ্ধ লোক গাড়ি চালিয়ে আমার কাছে আসেন। তখন লোকটিকে নরম মনের বলে মনে হয়। আমাকে ওই বৃদ্ধ লোকটি তার ফোন নাম্বার দেন। একদিন আমাকে তার সঙ্গে পুয়েবলায় ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমার জন্ম এক যৌথপরিবারে। সারাক্ষণ মা-বাবা আমার সঙ্গে মেজাজ দেখাত। যাহোক এক পর্যায়ে আমি রাজি হই। তারপর ওই লোকটি আমাকে মানবপাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়। প্রথমে ২২ বছর বয়সী এক ছেলের জিম্মায় রাখা হয় আমাকে। আমি ছেলেটির সঙ্গে একটানা ৩ মাস থাকি। ছেলেটি আমাকে সুন্দর পোশাক কিনে দেয়। আমি দ্রুত ছেলেটির প্রেমে পড়ি। তারপর ছেলেটি আমাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। এ সময় আমাকে অন্য মেয়েদের এ পথে নামাতে দালালিও করতে হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত আমাকে ধর্ষণ করা হতো। সপ্তাহে ৭ দিন। আর দিনে আমাকে অন্তত ৩০ জন লোক ধর্ষণ করত। আমি কাঁদলে লোকগুলো হাসত। আমি মুক্তি চাইতাম। তখন তারা আমাকে বেশ্যার সর্দারণী বলে ঠাট্টা করত। ওরা গোপনে আমার ধর্ষণের ভিডিও করে। এসব দেখিয়ে বলে, পালানোর চেষ্টা করলে তোমার পরিবারকে এসব দেখানো হবে। এভাবে আমাকে একাধিক শহরের হোটেল, মোটেল, পার্ক, বাসা এমনি রাস্তায় পর্যন্ত ধর্ষণ করা হয়। পরে দীর্ঘ বছর পর এক পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় আমি উদ্ধার পাই। -ডেইলি মেইল অবলম্বনে।
×