ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পেস্টিসাইডের কারণে ‘গণহত্যা’র জন্য পশ্চিমারা দায়ী ॥ মতিয়া চৌধুরী

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়, ভারত-চীনের পরেই

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়, ভারত-চীনের পরেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সবজি রফতানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, দেশে সবজি রফতানির অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রফতানি আয়ের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা থাকবে সবজির। এক্ষেত্রে অর্গানিক পণ্য তৈরিসহ আরও যেসব ক্ষেত্র আছে সেগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। সবজি চাষে বাংলাদেশ তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে ভারত ও চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় সবজি মেলা ২০১৬’ ও ‘সবজি প্রদর্শনী’ উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের ইতিহাসে সবজি নিয়ে এমন বৃহৎ আয়োজন এবারই প্রথম। ‘হরেক রকম সবজি চাষে, সারা বছর অভাব নাশে’ প্রতিপাদ্যে শুরু হওয়া জাতীয় সবজিমেলা ও প্রদর্শনীতে ১৫৭ রকমের সবজি প্রদর্শিত হচ্ছে। খামারবাড়ির আ. কা. মু গিয়াসউদ্দিন মিল্কী অডিটরিয়াম সংলগ্ন খোলা চত্বরে তিন দিনব্যাপী এ মেলায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ৫০ স্টল অংশ নিয়েছে। মেলা শেষ হবে আগামী ১৯ জানুয়ারি। দুপুরে সেমিনার শেষে অতিথিরা মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। সেমিনারে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। এই অর্জন ও সাফল্য ধরে রাখতে হবে। বৃহৎ দুই দেশ ভারত আর চীনের পরেই বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনের জায়গাটি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে পুষ্টির ব্যাপারে যদি আরও সচেতন করতে পারি তাহলে দেশের বাজারে সবজির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরাই প্রথম হাইব্রিড সবজি চাষের প্রচলন করেছিলাম। সে সময়ে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। আজ বিনয়ের সঙ্গে বলতে পারি, সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। সবজি চাষের এই সফলতা সম্পর্কে শুধু আমরা বলি না, বিশ্বও বলে। সবজি চাষে বিশ্বে আমরা তৃতীয়, বিশ্বই সে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হয়ে যদি সবজির কথা বলতাম, তাহলে বলা হতো চালের বদলে শাক খেতে বলছে। বেশি বেশি করে সবজি খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সবজির ব্যবহার বাড়াতে হবে। রফতানির দিকে নজর দেয়ার বিষয়টির প্রতি আরও গুরুত্ব দিতে হবে। সবজি চাষের সামনে থাকা কৃষক ও পেছনে থাকা বিজ্ঞানী, গবেষক, সম্প্রসারণসহ সংশ্লিষ্টদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান অতিথিরা। সেমিনারে ‘পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে বছরব্যাপী হরেক রকম সবজি চাষ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।
×