ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোচ মারুফুলের লক্ষ্য জয়

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

কোচ মারুফুলের লক্ষ্য জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বলা হয়ে থাকে ফুটবলে অধিনায়ক কেবল নামেই অধিনায়ক, আসলে তিনি খেটে খাওয়া শ্রমিক ছাড়া কিছুই নন! আসল অধিনায়ক যদি কাউকে বলতে হয়, তাহলে তিনি হচ্ছেন কোচ। তাঁর দিক-নির্দেশনায়, পরিচালনায়-পরিকল্পনায় দলের জয় বা ড্র নির্ধারিত হয়। ফুটবল দলকে যদি একটা জাহাজের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে সে জাহাজের ক্যাপ্টেন হচ্ছেন কোচ। শিপ ক্যাপ্টেন এবং ফুটবল কোচের মধ্যে আরেকটি মিল আছে। জাহাজডুবি হলে দায়ী করা হয় ক্যাপ্টেনকে, তেমনি দলের ভরাডুবি ঘটলে বা সাফল্য না পেলে বলির পাঁঠা বানানো হয় এ কোচ মহাশয়কেই! বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ মারুফুল হক। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে। আজ সেমির দ্বৈরথে যদি বাহরাইনকে হারাতে পারে, তাহলে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সাফে ব্যর্থতার পর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেও বাংলাদেশ ভাল ফল করতে পারবে না বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন মারুফুল। রবিবার প্রি-সেমিফাইনাল ম্যাচ কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘প্রথম লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল খেলা। সেটা অর্জিত হয়েছে। এবারের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা। আশা করি এটাও অর্জিত হবে। তবে বাহরাইন ভাল দল। যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবেই তারা এখন সেমিতে। অবশ্যই তাদের সমীহ করছি। তবে এই ম্যাচে তাদের বিপক্ষে জয় পেতে আমার ছেলেরা তাদের শতভাগ দিয়েই খেলবে।’ বাহরাইনের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেন মারুফুল হক। শেষ ম্যাচে উইঙ্গার জাহিদ হোসেনকে খেলানো হয়নি। তাকে সেমির ম্যাচে দেখা যাবে কি? ‘সেটা অনুশীলনের পর বোঝা যাবে।’ মারুফুলের জবাব। সেমিফাইনালে ড্র হলে অতিরিক্ত সময় খেলা হবে। তাতেও খেলার ফল নিষ্পত্তি না হলে টাইব্রেকার হবে। এ প্রসঙ্গে মারুফুলের ভাষ্য, ‘কোন দলই নিশ্চয়ই ৯০ মিনিটের বেশি খেলাটাকে টেনে নিতে চাইবে না। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জয় নিশ্চিত করা। কারণ এরপর ফাইনাল খেলা বাকি থাকবে। সেই ম্যাচের আগে এত বেশি শক্তিক্ষয় কেউই নষ্ট করতে চাইবে না। তাই আমরা চাইব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ম্যাচ জিততে।’ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে গোল করতে না পারা। ‘প্রথম দুই ম্যাচে আমরা তিনটি গোল বাজেভাবে খেয়েছি। শেষ ম্যাচে অবশ্য গোল খাইনি। তবে গোলের অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। সেমিফাইনালে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এদিকটিতে উন্নতির জন্য ছেলেদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ ২০০৮ সালে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু মারুফুলের। দুই বছরে ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন দুবার ফেডারেশন কাপ ও একবার সুপার কাপ। আর প্রিমিয়ার লীগে দল হয় অপরাজিত রানার্সআপ! এরপর ২০১০ সালে চলে যান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে। লীগে দল হয় রানার্সআপ। ২০১২ সালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে কিছু জিতলে না পারলেও ২০১৩ সালে ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’ (লীগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ) জেতার স্বাদ পান। এর আগে ১৯৮২ সালে মোহামেডান এমন ট্রেবল জয়ের নজির গড়েছিল।
×