ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিমাঞ্চল রেলের কোটি টাকার সম্পদ লোপাট

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

পশ্চিমাঞ্চল রেলের কোটি টাকার সম্পদ লোপাট

ডি এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ দীর্ঘ পাঁচ বছর পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ বিভিন্ন রেলস্টেশনে পড়ে থেকে অযতœ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্য পরিত্যক্ত রেল ও কাঠের সিøপার রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে নাট বল্টু। রেলের এসব নাট বল্টুর চাহিদা রয়েছে কামারদের কাছে। লোহার যে কোন অস্ত্র ধারাল করতে রেলের এসব নাট বল্টু সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। এসব লোহার পরিত্যক্ত নাট বল্টুর পরিমাণ শতাধিক মেট্রিক টন। এখন খুঁজলে কয়েক টনও পাওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ লোপাট হয়ে গেছে। এ তথ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেল সূত্র হতে পাওয়া। উল্লেখ্য, ২০১০Ñ১১ অর্থবছরে উত্তরাঞ্চল জোনের শতাধিক কিলোমিটার রেলপথ সংস্কারে সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এসব রেলপথের মধ্য ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনুরা জংশন ও আব্দুলপুর-রাজশাহী, আমনুরা জংশন, রহনপুর রেলবন্দর স্টেশন হয়ে সীমান্তের সিংগাবাদ (ভারতীয়) রেলস্টেশন পর্যন্ত। এসব রেলপথের পুরো লাইন ও কাঠের সিøপার উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকারের তৈরি এসব রেলপথে সেই সময় ব্যবহার করা হয়েছিল প্রসিদ্ধ বার্মাটিক হতে তৈরি শালকাঠের সিøপার। শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও এসব কাঠের সিøপার অনেক ক্ষেত্রেই পরিত্যক্ত হলেও অধিকাংশ অক্ষত ছিল। যা পরবর্তীতে রেলের একটি অসাধু সিন্ডিকেট নিজেরা ফার্নিচার করার কাজে ব্যবহার নতুবা অবৈধ পথে বিক্রি করেছে। এরপরেও বিশাল পরিমাণ কাঠের সিøপার ও রেললাইন বিভিন্ন রেলস্টেশনে খোলা আকাশের নিচে মজুদ রাখা হচ্ছে, যা এখন বৃষ্টি ও রোদে নষ্ট হচ্ছে। আমনুরা রেল জংশন হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে স্তূপ করে এ মালামাল রেখে দেয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রকৌশল বিভাগ এসব দেখভালে নজর দেয়া প্রয়োজন মনে করছে না। ইতোমধ্যে একাধিক সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পরিত্যক্ত এসব অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করার। কিন্তু প্রকৌশল শাখা এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করছে না।
×