ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোলায় আক্রান্ত শত শত

গলাফোলা রোগে মারা গেছে কয়েক শ’ পশু

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

গলাফোলা রোগে মারা গেছে কয়েক শ’ পশু

হাসিব রহমান, ভোলা ॥ দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের নেয়ামতপুর চরে এক মাস ধরে শত শত মহিষ-গরু, ছাগল-ভেড়াসহ গবাদিপশু গলাফোলা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেড় থেকে ২শ’ পশু মারা গেছে বলে চরবাসী জানিয়েছেন। এ অবস্থায় গবাদিপশু নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন চরবাসী। মহিষের মালিকদের অভিযোগ ওই চরে কোন সরকারী চিকিৎসক যান না। মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পর গত ৩০ বছর আগে জেগে ওঠে দৌলতখানের চর নেয়ামতপুর। ওই চরে ভূমিহীনদের আবাসস্থল। পাশাপাশি এ চরে নিরাপদে গবাদিপশু গরু, ছাগল, ভেড়া লালন পালন করা হয়। প্রতিদিন শত শত মণ গরু-মহিষের দুধ ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির উদ্দেশে পাঠানো হয়। সরেজমিন ওই চরে গেলে কৃষক ও গবাদিপশুর মালিকরা জানান, নেয়ামতপুর চরের ফিরোজবাঘার বাথানে গত এক মাসে সফিকুল ইসলাম হাওলাদারের ৩টি, আলী আকবরের ৪টি, নুরনবী বাঘার ৫টি, আব্দুল হান্নানের ২টি, মোঃ জসিমের ৩টি, দুলালের ৪টিসহ ৪৬টি মহিষ মারা গেছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত মহিষ মরাবাচ্চা প্রসব করেছে ৩০টির মতো। মহিষ ছাড়াও চরের তছির আহমেদের ১১টি ভেড়া ও ৬টি ছাগল, মোস্তফার ৪টি ছাগল, বাবুল মাঝির ২টি ছাগল, শাজাহানের ৫টি ছাগলসহ শতাধিক ছাগল-ভেড়া মারা গেছে। মহিষ মালিক ফিরোজবাঘা বলেন, তার ৬টি মহিষ ও ৩২টি ভেড়া মারা গেছে। প্রথমে মহিষের খাওয়া বন্ধ হয় ও জ্বর আসে, তারপর পেট ও গলা ফুলে মারা যায়। একই সমস্যা গরু, ছাগল ও ভেড়ার। এজন্য তারা পল্লী চিকিৎসকের নিকট থেকে টাইজন, ইবাসেফ, এক্টাবেট ও ববি পাউডার ব্যবহার করেছেন। কখনও উপকার পেয়েছেন, কখনও পাননি বলে জানান। মদনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফারুক জানান, গত সপ্তাহে জাফর কলোনির দুলালের একটি গরুসহ গত দুই মাসে ইউনিয়নের ১২ গরু মারা গেছে। মারা গেছে অসংখ্য ছাগল-ভেড়া। ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, চর নেয়ামতপুর এলাকায় কোন গলাফোলা রোগে মহিষ-গরু আক্রান্ত হয়নি। তবে চরের নোয়াখালী অংশে মহিষ-গরু আক্রান্ত হয়েছে। ওই এলাকার কৃষক লক্ষ্মীপুরে গবাদিপশুর চিকিৎসা করান। তারপরও চর নেয়ামতপুরে গলাফোলা ও এ্যানথ্রাক্সের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
×