ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাকারিয়া স্বপন

বিশ্বাসী জাতি ॥ অভাবে স্বভাব নষ্ট!

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

বিশ্বাসী জাতি ॥ অভাবে স্বভাব নষ্ট!

পৃথিবীতে কম্পিউটার তৈরি হওয়ার পর থেকে বেশ মজার মজার বিষয় ঘটছে, যা আগে ততটা ছিল না। কম্পিউটারের ক্ষমতা যত বাড়ছে, মানুষের তথ্য প্রসেস করার ক্ষমতাও তত বাড়ছে। কোটি কোটি তথ্যকে মুহূর্তের মধ্যেই প্রসেস করে ফেলা যায়, যা আগে চিন্তাই করা যেত না। হাত দিয়ে যখন মানুষকে তথ্য প্রসেস করতে হতো, তখন এত বেশি সময় লাগত এবং সেটাতে ভুলের পরিমাণ এত বেশি থাকত যে সেই তথ্য খুব বেশি একটা কাজে লাগানো যেত না। এই কয়েক দশক আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল হাতে প্রসেস করা হতো। আমার এসএসসির ফলাফল হাতে টেবুলেশন করা হয়েছিল, সেটা আমার মনে আছে। সেই সময় শিক্ষকরা বিভিন্ন বোর্ডের হেড অফিসে চলে যেতেন। টেবুলেশন শেষ করে বাড়ি ফিরতেন। কেউ কেউ রেজাল্ট কিছুটা জানতেন; কেউ জানতেন না। আমরা মূল ফলাফল প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতাম। সেই প্রক্রিয়ার অনেক ছাত্রছাত্রীকে দেখেছি, তাদের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করতে। কারও স্টার মার্ক পাওয়ার কথা, সে হয়ত ফেল করে গেছে। চ্যালেঞ্জ করা হলো। দেখা গেল, টেবুলেশনে ভুল। তার খাতার নম্বর যোগ করতে ভুল হয়ে গেছে। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর দশটা করে সাবজেক্ট- সেগুলো হাতে সঠিকভাবে করাটা একটা বিশাল কাজ বটে। কিন্তু এখন সেটা কেউ চিন্তাই করে না। কম্পিউটারকে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বলে দেবে, কে কত নম্বর পেয়েছে। জীবন কত দ্রুত হয়ে গেছে। আমরা যখন বেশি ডাটা প্রসেস করতে পারছি, তখন আমাদের ক্ষুধাও গেল বেড়ে। আমরা আরও বড় বড় ডাটা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছি। কোটি কোটি ডাটাকে মুহূর্তেই মধ্যেই প্রসেস করে বলে দিতে পারছি কোনও একটা ফলাফল। বিশাল এই ডাটা নিয়ে কাজ করার জন্য বর্তমান কম্পিউটার বিজ্ঞানে নতুন একটি সাবজেক্ট পর্যন্ত প্রবর্তন করা হয়েছে যার নাম ‘ডাটা সায়েন্স’। ডাটা সায়েন্স আসার পর আমরা নিত্যনতুন বিভিন্ন ধরনের ডাটার বিভিন্ন রকমের উপস্থাপনা দেখতে পাই। গত সপ্তাহেই আমার নরওয়ের এক বন্ধু খুব গর্ব করে একটি ডাটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। সেখানে দেখানো হয়েছে, এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বিশ্বাসী জাতি কোন্টি? খুবই ইন্টারেস্টিং ডাটা। কখনও ভেবে দেখা হয়নি এভাবে! আসলেই তো, এই গ্রহে অসংখ্য দেশ আছে, জাতি আছে। তাদের ভেতর সবচেয়ে বিশ্বাসী কারা? ॥ দুই ॥ একটি জাতির সবাই (অর্থাৎ ১০০ ভাগ মানুষই) নিশ্চয়ই বিশ্বাসী নয়। তবে যার যত বেশি, তার স্কোর তত ওপরে। আমরা নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করি, কোন জাতির মানুষকে সাধারণত বিশ্বাস করা যায়! কিংবা, উল্টো করে যদি প্রশ্ন করি, কোন জাতির মানুষের সঙ্গে কাজ করতে গেলে খুব সতর্ক থাকাটা জরুরী, নইলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। এমন প্রশ্ন কিন্তু আমরা হর-হামেশাই করি। আমরা যদি বলি, কোন্ দেশের বেশিরভাগ মানুষকে বিশ্বাস করা যায়, সেই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে নরওয়ে। তাই আমার নরওয়ের বন্ধুটি গর্বিত। সেই তালিকায় প্রথম দশটি বিশ্বাসী দেশের নামগুলো দেখে নেয়া যেতে পারে- ১. নরওয়ে (স্কোর ৭৪.২), ২. সুইডেন (স্কোর ৬৮), ৩. ফিনল্যান্ড (স্কোর ৫৮.৯), ৪. সুইজারল্যান্ড (স্কোর ৫৩.৯) , ৫. চীন (স্কোর ৫২.৩) , ৬. ভিয়েতনাম (স্কোর ৫২.১), ৭. নিউজিল্যান্ড (স্কোর ৫১.২), ৮. অস্ট্রেলিয়া (স্কোর ৪৬.১), ৯. নেদারল্যান্ড (স্কোর ৪৫) এবং ১০. কানাডা (স্কোর ৪২.৮)। [সূত্র : আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা] শুধু প্রথম হওয়াটা এখানে মুখ্য বিষয় নয়, কত স্কোর নিয়ে প্রথম হয়েছে সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নরওয়ে যেখানে পেয়েছে ৭৪.২, সেখানে দশম স্থানে থেকে কানাডা পেয়েছে ৪২.৮। বিশাল পার্থক্য। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশের মানুষরা বিশ্বাসী সেটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু চীন এবং ভিয়েতনামের মানুষ এত বিশ্বাসী এই তথ্যটি আমার মতো অনেকের কাছেই হয়ত নতুন। তবে কনফুসিয়াসের দেশের মানুষ অন্যদের চেয়ে বিশ্বাসী হবে, সেটা হয়ত আশা করা যায়। আরো কিছু ধারণা পাওয়ার জন্য সেই তালিকায় আমাদের পরিচিত কিছু দেশের স্থান এবং স্কোরও দেখে নেয়া যেতে পারে। যেমন- ইন্দোনেশিয়া (স্থান ১১, স্কোর ৪২.৫), থাইল্যান্ড (স্থান ১২, স্কোর ৪১.৫), ইরাক (স্থান ১৪, স্কোর ৪০.৮), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (স্থান ১৫, স্কোর ৩৯.৩), জাপান (স্থান ১৬, স্কোর ৩৯.১), ইংল্যান্ড (স্থান ১৯, স্কোর ৩০.৫), রাশিয়া (স্থান ২৪, স্কোর ২৬.২)। ইন্দোনেশিয়ার হলো মুসলমান দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসী। পুরো পৃথিবীর গড় স্কোর হলো ২৬.১। এবারে দেখে নেয়া যাক, এই গড় স্কোরের নিচের কিছু দেশ। যেমন, ২৫. ইথিউপিয়া (স্কোর ২৪.৪), ২৭. ভারত (স্কোর ২৩.৩), ৩৩. সাউথ আফ্রিকা (স্কোর ১৮.৮), ৩৪. ফ্রান্স (স্কোর ১৮.৮), ৩৫. মিসর (স্কোর ১৮.৫), ৪৯. ইরান (স্কোর ১০.৬), ৫২. মালয়েশিয়া (স্কোর ৮.৮) এবং ৫৫. তুরস্ক (স্কোর ৪.৯)। সেই তালিকায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাম নেই। তুরস্ক নামক দেশটির স্কোর মাত্র ৪.৯। এখন বুঝতে পারছি, কেন তুরস্ককে ইউরোপ তাদের ভেতর নিতে চায় না। অঞ্চলভিত্তিক হিসেবে ভারতের স্কোর অনেক ভাল (২৩.৩)। ভারতের দিল্লী নাকি সবচেয়ে বেশি ঠগ মানুষ পাওয়া যাবে। তবে ভারতের অন্যান্য অংশ হয়ত ভাল, যে কারণে তারা তালিকায় অনেক ওপরে উঠে এসেছে। পাশাপাশি, আমার ধারণা ছিল ফ্রান্সের মানুষরা অনেক বিশ্বাসী। আমার সেই বিশ্বাসে আঘাত লেগেছে। ফ্রান্সের স্কোর মাত্র ১৮.৮। মালয়েশিয়া সম্পর্কেও আমার ধারণা পাল্টে গেছে। ॥ তিন ॥ একই প্রতিবেদনে আরও মজার একটি ডাটা প্রকাশ করা হয়েছে, যা পাঠকদের মগজে চিন্তার খোরাক হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জিএনপি (গ্রস ন্যাশনাল প্রডাক্ট)র সঙ্গে বিশ্বাসী হওয়ার একটি যোগসূত্র প্রকাশ করেছে। এখানে ২০০৬ সালের জিএনপি নেয়া হয়েছে। জিএনপি দিয়ে কোন একটি দেশে সম্পদের ডিস্ট্রিবিউশন বুঝা যায়। তবে বর্তমানে জিএনপিকে জিএনআই (গ্রস ন্যাশনাল ইনকাম) ইনডেক্স দিয়ে পরিবর্তিত করে নেয়া হয়েছে। যেমন বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশের জিএনআই হলো ১০৮০ ডলার (২০১৪ সাল)। আরেকটু পেছনের দিকে তাকালে বাংলাদেশের জিএনআই ২০১১ সালে ছিল ৮৭০ ডলার, ২০১২ সালে ছিল ৯৫০ ডলার এবং ২০১৩ সালে ছিল ১০১০ ডলার। অর্থাৎ ২০১১ সালের ৮৭০ ডলার বেড়ে এখন হয়েছে ১০৮০ ডলার। গত ৪ বছরে বেড়েছে ২১০ ডলার। বাংলাদেশের জিএনআই গ্রাফ উর্ধমুখী। আরেকটু পেছনে গেলে দেখা যাবে, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের জিএনআই ছিল মাত্র ৩৬০ ডলার, আর ২০০০ সালে ৪২০ ডলার। গত ২০ বছরে বাংলাদেশের জিএনআই বেড়েছে ৩ গুণের বেশি। তবে সংখ্যাটি উন্নত বিশ্বের তুলনায় এখনও অনেক কম। যেমন ২০১৪ সালে আমেরিকার জিএনআই ছিল ৫৫,২০০ এবং নরওয়ের জিএনআই ছিল ১,০৩,৬৩০ (সূত্র: বিশ্ব ব্যাংক)। দেখা যাচ্ছে, যে দেশের মানুষের সম্পদের ডিস্ট্রিবিউশন যত বেশি, সেখানে তুলনামূলকভাবে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়েছে। যে অঞ্চলের মানুষের অভাব বেশি, তারা তত কম বিশ্বাসী। গ্রাফটি থেকে দেখা যাচ্ছে, যে দেশগুলোর বিশ্বাসের স্কোর অনেক উঁচুতে, তারা মূলত ধনী দেশ। যেমন নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, কানাডা, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ব্রিটেন ইত্যাদি। এগুলো ঐতিহাসিকভাবে মূলত খ্রীস্টান (প্রটেস্টান্ট) ধর্মাবলম্বী। এখানে একটু বলে রাখা যেতে পারে যে, মুসলমানদের যেমন শিয়া ও সুন্নি ভাগ রয়েছে, খ্রীস্টান ধর্মেরও দুটি অংশ হলো ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট। ক্যাথলিকরা পোপকে গুরু মানে। প্রটেস্টান্টরা পোপকে অনুসরণ করে না। তবে তুলনামূলকভাবে নিচু জিএনপি নিয়ে উঁচু স্কোর করেছে চীন, টাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরা মূলত কনফুসিয়াসে বিশ্বাসী। অপরদিকে ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের বিশ্বাসী হওয়ার প্রবণতা কম। তাদের অনেকের জিএনপি (বা জিএনআই) অনেক বেশি হলেও তারা বিশ্বাসী জাতির স্কোরে কম নম্বর পেয়েছে। যেমন ইতালী, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল ইত্যাদি। ক্যাথলিক কিন্তু দরিদ্র দেশের ভেতর রয়েছে ফিলিপাইন, ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া ইত্যাদি দেশ যেখানকার মানুষ কম বিশ্বাসী। গ্রাফটিতে ছোট একটি অংশে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের নাম এসেছে। ওখানে দেখা যাচ্ছে, ভারত বিশ্বাসের স্কোরে অনেক বেশি ওপরে। বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তানের চেয়ে ওপরে, যদিও পাকিস্তানের জিএনআই বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হলেও, সাধারণভাবে মানুষ তাদের বিশ্বাস করে কম। তবে দেখা যাচ্ছে, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মানুষকে বিশ্বাস করারও একটি যোগসূত্র রয়েছে। সেটা হয়ত ঐতিহাসিক কারণেই হয়ে থাকবে। ॥ চার ॥ সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ সাধারণভাবে কতটা বিশ্বাসী? বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের তুলনায় সেটা কেমন? গ্রাফটিতে ভাল করে চোখ বুলালে দেখা যাবে, বাংলাদেশের শতকরা ২২ ভাগের মতো মানুষ অন্য মানুষকে বিশ্বাস করে, যেখানে নরওয়ের শতকরা ৬৬ ভাগের মতো মানুষ সাধারণভাবে অন্য মানুষকে বিশ্বাস করে। কিন্তু খুব সরাসরি যদি প্রশ্ন করি, বাংলাদেশের মানুষ কি অন্যকে আসলেই বিশ্বাস করে? এর উত্তর কী আসবে? আমি মনে করি, ওপরের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তার সত্যতা রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ সাধারণভাবে অন্য মানুষকে বিশ্বাস করে না। এটাই সত্য, বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার ধারণা হলো, আপনি যে কোন কিছুই বলেন কিংবা করেন না কেন, বেশিরভাগই মানুষই সেটাকে সন্দেহের চোখে দেখে। এর মূল কারণ হলো, তারা ওটাকে বিশ্বাস করে না। মানুষ ডাটাকে বিশ্বাস করে না। এখানকার মানুষ গুজবকে বেশি বিশ্বাস করে। তথ্যকে ফেব্রিকেট করতে এবং দেখতে পছন্দ করে। এটা যে শুধু অর্থনৈতিক ডাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়। কোন রাজপুত্র এই দেশ থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে, এটা যেমন তথ্যনির্ভর নয়, একইভাবে আপনি একটি ছোট তথ্য দিয়েও বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। ধরুন, একজনকে বললাম, তোমার বেতন বাড়িয়ে দিলাম, কিন্তু এটা কাউকে বল না। সেও মাথা নাড়িয়ে বলবে, না না স্যার, কাউকে বলব না। কিন্তু তাকে এই তথ্যটুকু দিয়ে কতটুকু বিশ্বাস করা যায়? শতকরা কতভাগ মানুষ এই বিশ্বাসটুকু রাখতে পারবে? আমরা যখন নরওয়েতে বেড়াতে যাই, তখন আমরা বিশ্বাস করতে পারি ওখানকার মানুষ আমাদের ঠকাবে না। কিন্তু যখন উল্টোটা হয়? একজন নরওয়ের নাগরিক যখন বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে নামে, তখন তার ব্রেইনে আমাদের সম্পর্কে কী ধারণা থাকে? একবার ভেবেছিলাম, নরওয়ের ওই বন্ধুটিকে জিজ্ঞেস করব, তুমি বাংলাদেশে কাজ করছ কিভাবে? আমি তো মনে করি, বাংলাদেশের সবচেয়ে সমস্যা অর্থনৈতিক নয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অবিশ্বাস। আমাদের পদে পদে বিশ্বাসের অভাব। রাজনীতিতে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না, ছাত্র শিক্ষককে বিশ্বাস করে না, জনগণ পুলিশকে বিশ্বাস করে না, জনগণ সাংবাদিকদের বিশ্বাস করে না, ক্রেতা দোকানদারকে বিশ্বাস করে না, দোকানি ক্রেতাকে বিশ্বাস করে না, ভোক্তা পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাস করে না, কর্মী তার প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীকে বিশ্বাস করে না- তাহলে বিশ্বাসটুকু আর আছে কোথায়? কোথাও নেই! বাংলাদেশে বিশ্বাসের স্থান নেই। নিত্যদিন সন্দেহ আর অবিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার নাম বাংলাদেশ! ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং সম্পাদক, প্রিয়.কম ুং@ঢ়ৎরুড়.পড়স
×