ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দুই বাজারেই সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫১২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি টাকার শেয়ার। এদিন উভয় বাজারেই লেনদেন কমেছে আগের দিনের তুলনায়। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গত বৃহস্পতিবারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি পুঁজিবাজারবান্ধব হলেও রবিবার তার প্রভাব পড়েছে সামান্যই। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরই সূচকের পতন ঘটতে থাকে। দিনটিতে ছোট মূলধনী কিছু কোম্পানির অতিরিক্ত চাহিদাও বাজারকে প্রভাবিত করেছে। কারণ বেশকিছু স্বল্প মূলধনী কোম্পানি দিনটিতে বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন করেছে। তাদের মতে, পুঁজিবাজারে ঘোষিত মুদ্রানীতির প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগবে। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় সব ধরনের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা আস্তে চলার নীতি নিয়েছে। যার কারণে বাজারে প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর দিনশেষে সেই ধারা টেকেনি। উল্টো সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পতন ঘটতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইতে ৫১২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৬৯২ কোটি টাকার শেয়ার। রবিবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির শেয়ার দর। সকালে দরবৃদ্ধির পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৭৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১১৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বিডি থাই, গোল্ডেন সন, আইটিসি, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ডায়িং এ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, কাশেম ড্রাইসেলস, বেক্সিমকো ফার্মা এবং তাল্লু স্পিনিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- লেকচার মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড ওয়েল, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ও অলিম্পিক এক্সেসরিজ। এদিকে ঢাকার বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই কমেছে। সেখানেও বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সিএসই সার্বিক সূচক ৭৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১৪২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফার কেমিক্যাল, আইটিসি, ইউনাইটেড পাওয়ার, গোল্ডেন সন, এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড এয়ার, বিডি ওয়েল্ডিং, বেক্সিমকো, তাল্লু স্পিনিং ও জিপিএইচ ইস্পাত।
×