ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিপণ্য রফতানি ১৮ শতাংশ কমেছে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

কৃষিপণ্য রফতানি ১৮  শতাংশ কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মসলা জাতীয় পণ্যের রফতানি বাড়লেও চা, সবজি ও তামাকসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে। অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আয় হয়েছে ২৬ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে। একইসঙ্গে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসের রফতানি লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি কৃষিপণ্য রফতানিতে। জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত এই খাতে ২৮ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমকি ২৯ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। কৃষিপণ্যের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে চা, তামাক, মসলা জাতীয় পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলেও সবজি, কপি, ফল ও শুকনো খাবার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আয় হয়েছে ২৬ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
×