ভোজ্য তেলের দাম কমানোর সুবিধা পাচ্ছেন না ভোক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শনিবার থেকে ভোজ্য তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমানোর কথা থাকলেও তা এখনও ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হয়নি। খুচরা বাজারে পুরানো দামে কেনা মজুদ থাকা তেল বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোক্তারা এ সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রাথমিক পর্যায়ে এ সুবিধা পাচ্ছে পাইকারি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। রাজধানীর বাজার ও সুপার স্টোরগুলোতে এখনও বোতলজাত করা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৯৬ থেকে ১০১ টাকা ও খোলা তেল কেজিপ্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজার, খিলগাঁও, যাত্রবাড়ী ও পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার বাজারে প্রতি লিটার ফ্রেশ সয়াবিন তেল ৯৬ টাকায়, তীর ৯৭ টাকা, পুষ্টি ৯৮ টাকা ও রূপচাঁদা ১০১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভায় ভোজ্য তেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শনিবার থেকে এটা কার্যকর হবে বলে বাংলাদেশ ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদনকারী সমিতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ঘোষণা দেন। তেলে দাম না কমায় ভোক্তাদের অভিযোগ, ঘোষণার পরও দোকানে এখনও আগের দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। ভোক্তা পর্যায়ে কবে থেকে নতুন দামে তেল বিক্রি হবে তা স্পষ্ট করে বলা দরকার ছিল। তাহলে এ সমস্যা সৃষ্টি হতো না। এদিকে বিক্রেতারা বলছে, তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও নতুন দামে তেল সরবরাহ করছে না। মজুদ থাকা তেল বেশি দামে কেনা রয়েছে, তাই কম দামে ছাড়া যাচ্ছে না। মালিবাগ স্বপ্ন সুপার স্টোরের বিক্রেতা মোহাম্মদ আসিফ জানান, ‘এখনও নতুন দাম সমন্বয় করা হয়নি। নতুন দামে তেল পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।’ এর কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের উধর্তন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিলেই এটি কার্যকর করা হবে। আশা করি আগামী সপ্তাহ থেকে ঠিক হয়ে যাবে।’ স্বপ্ন সুপার স্টোরের বাজার করতে আসা বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা নাজনীন ফিরোজ জানান, ওইদিন টিভিতে দেখলাম তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি, এখনও আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কেন? সেলসম্যান জানাল, নতুন তেল এখনও আসেনি, আরও সময় লাগবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদনকারী সমিতি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এ সুবিধা পেতে একটু সময় লাগবে। তবে ঘোষণা অনুযায়ী বাজারে তেলের দাম আসলে কমেছে কিনা তা মনিটরিং শুরু হচ্ছে।’ সয়াবিন তেলের দাম কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘ভোজ্য তেলের দাম শনিবার থেকে কমানো শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তাদের হাতে এ তেল পৌঁছাতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে। কারণ এক বা দুই সপ্তাহের আগের কেনা তেল বিক্রি শেষ হলেই নতুন তেল দোকানে উঠাবে। তখন বিক্রেতারা নতুন দামে তেল বিক্রি করতে পারবেন।’