ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোহরাওয়ার্দীতে ৩১ মার্চ ১৯৫ পাকি সেনা অফিসারের গণবিচার

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

সোহরাওয়ার্দীতে ৩১ মার্চ ১৯৫ পাকি সেনা অফিসারের গণবিচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান একাত্তরে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ১৯৫ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তার গণবিচারের দাবিতে রবিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় নরঘাতক ১৯৫ পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তার বিচার ও পাকিস্তান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য ৩১ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে গণবিচারের আয়োজন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস ধ্বংস করার জন্য এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার ও ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের নোংরা চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিচারের মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনাসহ একাত্তরে সাড়ে ১১ হাজার দালাল-যুদ্ধাপরাধীকে বিচার আওতায় আনা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের পর দিল্লী চুক্তিমতে, এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের আশ্বাস দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে দেশের ফিরিয়ে নেয়ার পর বেইমান পাকিস্তান কথা রাখেনি। চুক্তির আওতায় তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে শাজাহান খান বলেন, এটা এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করব। জাতি ও রাষ্ট্রবিরোধী সব চক্রান্ত প্রতিহত করে পাকিস্তানী চরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দল-মত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণসহ ২১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেন তিনি। এসব দাবির মধ্যে আরও রয়েছে ১৯৭১ সালে গণহত্যা, সম্পদ ধ্বংস, লুণ্ঠন ও নারী নির্যাতনের কারণে পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ আদায়, পাকিস্তান সরকারের হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ, পাকিস্তানের কাছে পাওনা বাংলাদেশের সব অর্থ ও সম্পদের হিস্যা আদায়, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানী নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা, পাকিস্তানীরা যাদের ‘সাচ্চা পাকিস্তানী’ বলে দাবি করেছে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াফত করা, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াফত করা। দুপুরে সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক আবেদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী উপস্থিত ছিলেন।
×