ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বি-বাড়িয়ায় তাণ্ডব তিন শতাধিক অজ্ঞাত লোককে আসামি করে আরও এক মামলা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

বি-বাড়িয়ায় তাণ্ডব তিন শতাধিক অজ্ঞাত লোককে আসামি করে আরও এক মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ শহরে মৌলবাদী তা-বের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীর মামলাটি দায়ের করে। এতে আসামি করা হয় অজ্ঞাত ৩ শতাধিক লোককে। সদর থানা পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত ১৩ মামলা হয়েছে। কোন পক্ষই আসামিদের চিনতে না পারায় নাম ঠিকানা দেয়া হয়নি। তবে তদন্তে নাম ঠিকানা বের হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে, ধংসযজ্ঞের শিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ’ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। রবিবার দুপুরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ ঘটনাটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের আঘাত বলে বিবেচিত হবে। মূল ঘটনার সঙ্গে কোনভাবেই ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সম্পৃক্ত নন, তবু কেন এ প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা? খুব সহজভাবে এ ঘটনা বিবেচনার সুযোগ নেই। লাকী সাংবাদিকদের বলেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর আজীবন কষ্টের সাধনা আমাদের গর্বের জায়গায় নিয়ে এসেছে। তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তৃতীয় ধারার মহানায়ক। তার প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনাটি আমাদের তীব্রভাবে উদ্বিগ্ন করে। এ সময় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মশিউর রহমান বলেন, এ হামলাটি মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর আঘাত। সংস্কৃতি হলো সভ্যতার পরিচয়। এর উপর যারা হামলা করেছে, তারা কোনভাবেই সভ্য বলে দাবি করতে পারে না। পরিদর্শনের সময় তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদক আব্দুল মান্নান সরকার উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি ॥ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সর্বস্তরের উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামিয়া সিরাজীয় দারুল উলুম ভাদুঘর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী চক্র কোন প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা সচেতনতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে থাকেন। কিন্তু গত ১৩ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক উক্ত ঘটনার জন্য আমাকে উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।
×