ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাব্বিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

সাব্বিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চার ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জেতার পর রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচও জিতল বাংলাদেশ। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে এবার ৪২ রানের জয় তুলে নিল। ম্যাচে সাব্বির রহমান রুম্মন অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪৩ রান করেন। বল হাতে নেন ৩ উইকেট। এমন নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরাও হন সাব্বির। তার অসাধারণ ব্যাটিং-বোলিং ঝলকে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশও। ম্যাচে টস জেতে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐক্যবদ্ধ নৈপুণ্য দেখায় বাংলাদেশ। সাব্বিরের অপরাজিত ৪৩, ওপেনার সৌম্য সরকারের ৪৩, সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ২৭, আহত হয়ে মাঠ ছাড়া মুশফিকুর রহীমের ২৪ ও ওপেনার তামিম ইকবালের ২৩ রানে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুইয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৩০), ম্যালকম ওয়ালার (২৯) ও ভুসি সিবান্দা (২১) ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। সাব্বির নেন ৩ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান নেন ২ উইকেট। ম্যাচ শেষে ভীষণ উচ্ছ্বসিত দেখায় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ম্যাচ শেষ হতেই বলেন, ‘আমরা উইকেটে দেখেছি। একটু সেøা। ১৫০ থেকে ১৬০ রানই এ উইকেটে জেতার মতো স্কোর। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভাল হয়েছে।’ তামিম-সৌম্য মিলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। এ জুটিতেই ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। পরে গিয়ে সাব্বির, মুশফিক, সাকিব তা ধরে রাখেন। মাশরাফি বলেন, ‘ওপেনাররা যেভাবে খেলেছে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিন নম্বরে নেমে দলের জন্য সাব্বির অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। দুর্ভাগ্যবশত মুশফিক (কাঁধে ব্যথা পায়) ইনজুরিতে পড়ে যায়। তবে সাকিব শেষটা দুর্দান্ত করেছে। আমি আশা করছি মুশফিকের ইনজুরি সিরিয়াস নয়।’ সঙ্গে মাশরাফি যোগ করেন, ‘২০১৫ সালে বোলিংয়ে একটা গ্রুপ হয়ে খেলেছি। দেখছি, সেটা এখনও আছে। যা অনেক ভাল।’ জিম্বাবুইয়ের নিয়মিত অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরাকে দ্বিতীয় টি২০তে বিশ্রামে রাখা হয়। চিগুম্বুরার পরিবর্তে ম্যাচটিতে মাসাকাদজা নেতৃত্ব দেন। তাতেও সাফল্য মেলেনি। হতাশই হতে হয়েছে। মাসাকাদজা বলেন, ‘বোলাররা ভাল বোলিং করেছে। ১৬৭ রান অতিক্রম করার মতোই। কিন্তু ৬ থেকে ১০ ওভারের (২০ রান) মধ্যে যে রান উঠেছে, তা হতাশাজনক!’ জিম্বাবুইয়ের ব্যাটিং পরামর্শক এখন শ্রীলঙ্কান মারভান আতাপাত্তু। তার পরামর্শেও কোন কাজ হয়নি। তবে বাংলাদেশের মতোই জিম্বাবুইয়েও যে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য কম্বিনেশন তৈরির কাজ করছে, তা চলছে। তাই তো প্রথম টি২০র একাদশ থেকে দ্বিতীয় টি২০তে তিনজনকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাতে শুধু ফল আসছে না। মাসাকাদজা যেন তাই বলতে চাইলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যে আছে টি২০ বিশ্বকাপ। আমরা কিছু জিনিস নিয়ে চেষ্টা করছি। আমরা সেরা কম্বিনেশনটা বের করার চেষ্টা করছি। বোলিংটা আমাদের ঠিকই আছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বেশি কাজ করতে হবে। কারণ, ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট এটা।’ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে জিম্বাবুইয়ের ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারেননি। তবে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা ঐক্যবদ্ধ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। বোলিংটা জিম্বাবুইয়েরা ভাল করলেও বাংলাদেশ বোলাররা একধাপ এগিয়েই থাকে। সাব্বির ব্যাট ও বল হাতে জিম্বাবুইয়ের বারোটা বাজিয়ে দেন। ম্যাচ সেরা হয়ে সাব্বির জানান, ‘২-০ ব্যবধান হয়ে গেছে। দারুণ খুশি আমি। আমরা তৃতীয় ম্যাচও জিতব আশা করছি। উইকেটে ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্দান্ত ছিল। সৌম্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। সে ‘বিগ শট’ খেলে। আমি শুধু সাপোর্ট দিয়ে গেছি।’ বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেয়া নিয়ে সাব্বির শুধু বলেন, ‘এটা শুরু...।’ শুধু কি সাব্বিরের শুরু, ২০১৬ সালও রাঙিয়ে তোলার শুরু কি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরও না? প্রথম টি২০তে ৪ উইকেটে জিতে জয় দিয়ে নতুন বছর শুরু করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি২০ও জিতে নিয়েছে। এখন সামনে শুধু জয়েরই কি পালা নয়?
×